ইন্দোনেশিয়া সফরে পোপের আহ্বান, “আন্তঃধর্মীয় সংলাপ” পারস্পারিক সম্মান বৃদ্ধি করে

পোপের আহ্বান আন্তঃধর্মীয় সংলাপ পারস্পারিক সম্মান বৃদ্ধি করে

সম্প্রতি জাকার্তার ইস্তানা নেগারা রাষ্ট্রভবনে পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস তার বক্তব্যে পারস্পারিক সম্মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ও যোগাযোগের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।

এছাড়াও তিনি ইন্দোনেশিয়ার বৈচিত্র্যময় জাতিগত এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর সক্রিয় ভূমিকাকে ঐ দেশের “একত্রীকরণের তুলিকা হিসেবে বর্ণনা করেছেন । ঠিক বিশাল সমুদ্র যেমন দ্বীপপুন্জের হাজার হাজার দ্বীপকে সংযুক্ত করে একই সমান্তরালে অবস্থান করায়, ঠিক তেমনিভাবে এ দেশের জাতি, ধর্ম, বর্ণ সবাই এক সাথে বসবাস করে দেশকে আর সৌন্দর্যমন্ডিত করছে“, বলেন পোপ ফ্রান্সিস।

রাষ্ট্রপতিকে উল্লেখ করে পোপ ফ্রান্সিস বলেন যে , আপনার  দেশের আদর্শ নীতিবাণী,  “বৈচিত্র্যর মধ্যে ঐক্য”, এর আক্ষরিক অর্থ ভিন্নতার মধ্যে ও এক থাকা।  আপনার এই সুমহান বাণী  এই জাতির মধ্যে  বৈচিত্রময়  ঐক্যবদ্ধ মানুষের বহুমুখী বাস্তবতাকে প্রতিফলিত করবে।

এছাড়া ও তিনি সাংস্কৃতিক ও মতাদর্শের বৈচিত্র এবং মূল্যবোধের মধ্যে সূক্ষ ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বের উপর জোরালো বক্তব্য রাখেন যা কিনা পারস্পারিক ঐক্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়। পারস্পারিক ঐক্য বজায় রাখার যে সকল অন্তরায় গুলো রয়েছে তা নির্মূল করার জন্য বিনীত আহ্বান রাখেন পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস।

পোপ ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের  মধ্যে শান্তিপূর্ন এবং ফলপ্রসূ সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আন্তঃধর্মীয় সংলাপের উপর বিশেষ জোরদার করেছেন এবং এ ক্ষেত্রে তিনি খ্রিস্টমন্ডলীর সকল প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি জোরালো ভাবে ব্যক্ত করেছেন যে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের মধ্য দিয়ে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে একই সহাবস্থানে থেকে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

খ্রিষ্টমন্ডলী বরাবরই অন্যের মঙ্গল কামনা করে থাকে। তাই সঙ্গতকারনেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তারা অন্যের সাহায্যে, সহযোগিতার হাত বাড়াতে চায়। আরও ন্যায়সঙ্গত এবং ভারসাম্যপূর্ন সামাজিক কাঠামোর বিকাশকে উন্নীত করে এবং সমাজে আরও কার্যকর এবং ন্যায্যতার জন্য কাজ করতে প্রয়াসী হয়।

পুন্যপিতা ইতালীয় ভাষায় একটি বই লিখেছেন সেখানে তিনি ইন্দোনেশিয়ার সামগ্রিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে অতন্ত্য দক্ষতার সাথে রুপায়িত করেছেন। এতে তিনি এই দেশের সৌন্দর্য, বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিভিন্ন ধর্মের বসবাস, সংলাপ, বিশ্বাস, ভ্রাতৃত্ব এবং সহানুভুতির কথা উল্লেখ করেছেন। ঈশ্বর যেন এই দেশকে সবর্দা আর্শীবাদ মন্ডিত করেন তিনি সেই মঙ্গল কামনা করেছেন। - আরভিএ সংবাদ