রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মথুরাপুর ধর্মপল্লীর অর্ন্তগত কাতুলী গ্রামে সাধু আন্তনীর পর্ব দিবস উদযাপন

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতায় অনুষ্ঠিত হলো রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের মথুরাপুর ধর্মপল্লীর অর্ন্তগত কাতুলী গ্রামে সাধু আন্তনীর পর্ব দিবস।
নয় দিনব্যাপী নভেনা প্রার্থনা ও খ্রিস্টযাগ উৎসর্গের মধ্যদিয়ে খ্রিস্টভক্তদের আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর উদযাপিত হয়েছে এই সাধু আন্তনীর পর্ব উৎসব।
এতে বৃদ্ধ হতে শিশু পর্যন্ত মহান সাধু আন্তনীর বিপুল সংখ্যক ভক্তরা পর্ব দিবসে যোগদান করেছেন।
পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন খুলনা ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল জেমস রমেন বৈরাগী। এছাড়াও পাল পুরোহিত ফাদার বার্ণার্ড রোজারিও, অন্যান্য ফাদার, সিস্টারগন উপস্থিত ছিলেন।
বিশপ জেমস রমেন বৈরাগী খ্রিস্টযাগের উপদেশে বলেন, “আমাদের জীবনে নানা ধরণের ক্রুশ রয়েছে। আর আমরা যদি যিশুর অনুসারী হই তাহলে সে ক্রুশ নিয়ে যিশুকে অনুসরণ করবো।”
বিশপ আরো বলেন, “আজ আমরা সাধু আন্তনীর পর্ব পালন করছি, তিনিও যিশুকে অনুসরণ করেছেন। সাধু আন্তনীও যিশুর জীবনের সাথে যুক্ত ছিলেন। আমরা যিশুকে কতটুকু আমাদের জীবনে যুক্ত করি? সাধু আন্তনী যিশুর কথা প্রচার করেছেন, আমরাও যেন যিশুর কথা প্রচার করি।”
“বর্তমান জগতে আমাদের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে যেন আমরা এই জুবিলী বর্ষে মন পরিবর্তন করে পাপস্বীকার সংস্কার লাভ করি। আমরা আজ কি নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবো? সাধু আন্তনী তাঁর ভালাবাসা দেবার জন্য সদা প্রস্তুত”, বলেন বিশপ বৈরাগী।

পর্বে অংশগ্রহনকারী একজন আনন্তীভক্ত তার মনের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমি প্রতিবছর সাধু আন্তনীর তীর্থ করতে ছুটে আসি তাঁর প্রতি ভক্তি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও প্রণাম জানাতে কারণ সাধু আন্তনী হচ্ছেন আমার প্রিয় সাধু তার কাছ থেকে আমি অনেক অনুগ্রহ লাভ করেছি।”
ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার বার্ণাড রোজারিও বলেন, “সাধু আন্তনী আমাদের প্রাণের সাধু। আমরা তাঁকে খুব ভালবাসি। তাই সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় আমরা যেন ঈশ্বরের নিকট নিজেকে অর্পণ করি।”
সাধু আন্তনী ১৫ আগস্ট ১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগালের বর্তমান রাজধানী লিসবন শহরের জন্মগ্রহণ করেন। তার কর্মজীবন কাটে ইতালির পাদুয়ায়। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরন করেন।
সাধু আনন্তী ছিলেন অত্যন্ত সহজ-সরল, ঈশ্বর ও মানবপ্রেমী, ধার্মিক এবং দয়ালু ও দরদী এক মহান সাধু। তিনি মানুষকে ঈশ্বরের দয়া লাভ করাতে সর্বদায় সাহায্য করেছেন। দরদী হৃদয় নিয়ে তিনি দরিদ্র ও পাপীদের নিকট ঈশ্বরের ঐশভালবাসা ও দয়ার কথা প্রচার ও প্রকাশ করেছেন। - আরভিএ সংবাদ