ঢাকার ওয়ারীতে তেলেগু কমিউনিটিতে অনুষ্ঠিত হলো সাধু আন্তনীর পর্ব দিবস

নারিন্দা টেকনিকেল গীর্জিকায় তেলেগু কমিউনিটিদের নিয়ে পাদুয়ার সাধু আন্তনীর পর্ব দিবস উদযাপন

গত ১৩ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ওয়ারীতে তেলেগু কমিউনিটিতে অনুষ্ঠিত হলো সাধু আন্তনীর পর্ব দিবস।

হলিক্রস ব্রাদারদের দ্বারা পরিচালিত সাধু যোসেফের কারিগরি বিদ্যায়ের (নারিন্দা টেকনিকেল) গীর্জিকায় পাদুয়ার সাধু আন্তনীর পর্ব উপলক্ষ্যে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়।

পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন তেলেগু ভাষায় ফাদার সাই, পিমে। খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন প্রায় ১০০জন তেলেগু খ্রিস্টভক্ত পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সিস্টার বেণেডিক্টা, এম.সি এবং দুই জন হলি ক্রস সেমিনারীয়ান যথাক্রমে শুভ আন্তনি রোজারিও, সিএসসি ও প্রীতম ফিদেলিস রিছিল, সিএসসি।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের উপদেশে ফাদার সাই, পিমে, যিনি কার্ণাটকের বাসিন্দা তবে তেলেগু ভাষায় পারদর্শী তিনি বলেন,  “আমাদের যদি কোনো কিছু হারিয়ে যায় তা ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করতে হবে,  কেননা ভক্তিভরে তার মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করলে তিনি তা ফিরেয়ে দেন।

তোমাদের বিশ্বাসে আরো বলিয়ার হওয়ার জন্য প্রতিদিন পরিবারে পবিত্র জপমালা প্রার্থনা করতে হবে এবং একই সাথে খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করতে হবে,” বলেন ফাদার সাই।

উল্লেখ্য যে তারা ভারতের আন্ধ্রাপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা প্রদেশ থেকে বৃটিশ শাসনামলে আজ থেকে ১৫০ বছর পূর্বে রেলওয়ে ও রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও চা বাগানে কাজের শ্রমিক হিসেবে বহু সংখ্যক তেলেগু সম্প্রদায়ের লোকদের বৃটিশ সরকার তৎকালীন পূর্ব বঙ্গে নিয়ে আসেন।

যারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বিভিন্ন সরকারী কর্মী তাদের জন্য সরকার থেকে কোয়ার্টার দেওয়া বরাদ্দ রয়েছে। তারা সকলেই প্রায় একসাথে এই বাসস্থানগুলোতে পরিবার নিয়ে বাস করছে।

বাংলাদেশের তেলেগু সম্প্রদায়ে সিংহভাগ লোক হিন্দু ধর্মাবলম্বী, খ্রিস্টধর্মাবলম্বী রয়েছে কিছু অংশ এবং অন্যান্য। একজন তেলেগু সমাজনেতার মতে তেলেগু কমিউনিটি সর্বপ্রথম খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয় আনুমানিক ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে।

এখানে কাথলিক মণ্ডলী ছাড়াও ব্যাপ্টিস্ট ও অন্যান্য মণ্ডলী রয়েছে। তবে বর্তমানে তেলেগু কাথলিক খ্রিস্টভক্তগণ পবিত্র ক্রুশের গীর্জা, লক্ষীবাজার ধর্মপল্লীর অন্তর্ভুক্ত।

প্রায় প্রতিমাসে তাদের জন্য নারিন্দা টেকনিক্যাল স্কুলের গীর্জিকায় খ্রিস্টযাগের ব্যবস্থা করা হয়।  তারা নিজেদের ভাষা তেলেগুতেই প্রার্থনা করেন ও খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহন করেন।

খ্রিস্টযাগ শেষে তেলেগু কাথলিক সমাজের নেতা মি. আনন্দ  ফাদার সাই, পিমেসিস্টার ও সেমিনারীয়ানদ্বয় ও খ্রিস্টভক্তদের ধন্যবাদ জানান। - সেমিনারীয়ান প্রীতম ও শুভ, সিএসসি।