এশিয় প্রজ্ঞা ও বিশ্বাসের পূর্ণতায় মহান আশার তীর্থযাত্রা

এশিয় প্রজ্ঞা বিশ্বাসের পূর্ণতায় মহান আশার তীর্থযাত্রা

২৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ,মালয়েশিয়ার পেনাং অনুষ্ঠিত মহান আশার তীর্থযাত্রার সন্মেলনের দিকে আমরা এগিয়ে চলছি। এশিয়া,  সাধারণ বিশ্বাস নয় বরং বিশ্বাসের বীজ রোপণের এক পবিত্র  ভূমি  

 পেনাংয়ের উক্ত এই সন্মেলনে এক হাজারেরও বেশি বিশপ, পুরোহিত, ডিকন সাধারণ খ্রিস্টভক্ত  একত্রিত হবেন, একটি গভীর প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে , আমরা এশীয় ক্যাথলিক হিসেবে কীভাবে আমাদের পরিচয়কে জীবনে ধারণ করতে পারি, যা আমাদের মহাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহুবৈচিত্র্যময় প্রথার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ? এই উত্তর কোন কৈৗশলগত বিদ্যা নয় বরং প্রজ্ঞার আলোকে আলোকিত হয়ে মণ্ডলীর বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যাক্তিদের সংলাপের মধ্যেই অর্ন্তনিহিত আছে। 

এশিয়া হলো বিশ্বের মহান আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যগুলোর জন্মভূমি খ্রিস্ট,বৌদ্ধ, হিন্দু, ইসলাম ধর্মের সমন্বয়ের বসবাস এছাড়া  অগণিত স্বদেশীয় ধর্মবিশ্বাস পরিলক্ষিত হয়।  

এই বাস্তবতা এমন এক বিশেষ ধরণের মিলনের আহ্বান জানায় , যা আমাদের সংস্কৃতিগুলোর মাঝে ইতিমধ্যেই বপন করা ঈশ্বরের কৃপা সত্যের উপস্থিতিকে স্বীকার করে। এশিয়ায় খ্রিস্টান হয়ে বেঁচে থাকা মানে হলো  ধর্মীয় মনোভাব নিয়ে সক্রিয়ভাবে খ্রিস্টের সাক্ষ্য বহন করা শক্তি বা আধিপত্যের মাধ্যমে নয়, বরং নীরব, সহানুভূতিশীল উপস্থিতি এবং ভাগ করা মানবিকতার মাধ্যমে।

এই আশার তীর্থযাত্রায় আমাদের আহ্বান, আমাদের প্রতিবেশীদের সংস্কৃতিকে ভেঙে ফেলা নয়; বরং শান্তি, সম্প্রীতি সমষ্টিক জীবনের প্রতি তাদের গভীর সাংস্কৃতিক আকাঙ্ক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে খ্রিস্টের মুক্তির মহিমা তুলে ধরা।তাদের সহযোগী  হয়ে সমাজের কাজ করা অন্যধর্মের সাথে ধর্মীয় বন্ধুত্ব বজায় রাখা ।নিজের ধর্ম প্রচারণার চেয়ে  ধর্মীয় কাজে উপস্থিত থাকা এবং ঈশ্বরের প্রজ্ঞায়  মঙ্গলসমাচার ভিত্তিক জীবনযাপন করা।

পেনাং- অনুষ্ঠিত মহান আশার র্তীথযাত্রা ,আমাদের এই প্রতিশ্রুতিকে গভীর করার জন্য একটি আহ্বান। এটি আমাদেরকে এক মহাদেশীয় মণ্ডলী হিসেবে স্বীকার করতে বলে যে, আমাদের ভবিষ্যত সকল ধর্মের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভাগ করা।

যে চ্যালেঞ্জগুলো আমরা মুখোমুখি হইদারিদ্র্য, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, পরিবেশগত সংকট, এবং ধর্মীয় সহনশীলতার অভাবসেগুলো একা সমাধান করা সম্ভব নয়। এগুলো  সমাধানের জন্য সবার সাথে একসাথে চলা  প্রয়োজন।

এই মনোভাব আমাদের নম্র সহনশীল হতে শেখায়। সমাজ , দেশ এবং পারস্পারিক শান্তি বির্নিমানের পথ প্রশস্ত করে। সংবাদ – আরভিএ