লূর্দের রাণী মারিয়া ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো খ্রিস্টরাজার মহাপর্ব ও খ্রিস্টপ্রসাদীয় শোভাযাত্রা

বনপাড়া ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তদের নিয়ে উদযাপিত হলো খ্রিস্টরাজার মহাপর্ব ও খ্রিস্টপ্রসাদীয় শোভাযাত্রা

গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বনপাড়া লূর্দের রাণী মারিয়া ধর্মপল্লীতে খ্রিস্টভক্তদের নিয়ে  উদযাপিত হলো খ্রিস্টরাজার মহাপর্ব খ্রিস্টপ্রসাদীয় শোভাযাত্রা।

খ্রিস্টরাজা তোমারে প্রণাম করি, তুমি পবিত্র ঈশ্বরনন্দন তোমারে প্রণাম করিঐশ জনগণের সম্মিলিত সুর এবং গভীর বিশ্বাস ভক্তি উৎসাহ নিয়ে পালিত হলো এই পর্ব খ্রিস্টপ্রসাদীয় শোভাযাত্রা।

পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা। তিনি তার উপদেশ বাণীতে বলেন, “প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতা এবং ইউরোপের মূল ভূখণ্ডের চারটি প্রধান রাজতন্ত্রের অবসানের পর এই উৎসবটি খ্রিস্টের প্রকৃত রাজত্বের উপর জোর দেয়।

মূলত নাস্তিকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার উত্থানের প্রতিক্রিয়া জানাতে এই উৎসবটি সমগ্র বিশ্বে আজ অবদি আলোড়ন সৃষ্টিকারী এক মহোৎসব। যিশু সমগ্র মহাবিশ্বে পেশী শক্তি দিয়ে নয় বরং ভালবাসা, ক্ষমা, সেবা ন্যায়-নীতির মধ্য দিয়েই তাঁর মহাপ্রতাপ শান্তির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন,” বলেন ফাদার

বনপাড়া ধর্মপল্লীতে উদযাপিত হলো খ্রিস্টরাজার মহাপর্ব ও খ্রিস্টপ্রসাদীয় শোভাযাত্রা

একজন অংশগ্রহণকারী তার মনের কথা ব্যক্ত করে বলেন, “আসলে খ্রিস্টরাজার রাজত্ব মানুষের হৃদয়ে। তার রাজত্ব ভালবাসার রাজত্ব। এই ভালবাসার চরম নির্দশন দেখাতে গিয়ে নিজেকে রিক্ত করে ক্রুশে ঝুলে প্রাণ দিয়েছেন। ক্রুশেই খ্রিস্টরাজার প্রকৃত স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে।

খ্রিস্টরাজা আমাদের সেবা, ক্ষমা ভালোবাসার পথ দেখিয়ে গেছেন। তিনি নম্রতার উত্তম আদর্শ। ঈশ্বর পুত্র স্বর্গ মর্ত্যরে অধীশ্বর হয়েও পাপীকে ক্ষমা করে বিরল আদশ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।  বিশ্ব রাজ খ্রিস্টের একান্ত ইচ্ছা আমরা যেন পরস্পরকে ভালোবাসি এবং প্রভু যিশুর ভালোবাসার আশ্রয়ে থাকি,” বলেন অংশগ্রহণকারী।

এই পর্বদিবস উপলক্ষ্যে সকালে পবিত্র খ্রিস্টযাগ এবং বিকালে পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদীয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করা হয়। - ফাদার শ্যামল গমেজ