কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লীর মহিলাদের নিয়ে উদযাপিত হল আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ছবি সৌজন্য - কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশ
বিগত ১৬ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের মহিলা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করা হয় কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত চার্চ অফ দা ক্রাইস্ট দা কিং গির্জাতে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শ্রী দিলীপ রোজারিও জুবিলি বছর উপলক্ষ্যে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জুবিলি বছরের ইতিহাস সকলের সামনে তুলে ধরেছিল।
এরপর আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই শুভ মুহূর্ত শুরু করা হয় পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্যে দিয়ে। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন মহাধর্মপাল টমাস ডি’সুজা, কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ডমিনিক গোমেস, ধর্মপল্লীর পাল-পুরহিত ফাদার ব্যাসিল মান্ডি, ফাদার সুনীল রোজারিও, অন্যান্য ফাদারগণ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাদার, সিস্টার এবং বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে আগত খ্রিস্টভক্তরা।
পবিত্র খ্রিস্টযাগে মহাধর্মপাল টমাস ডি’সুজা বলেন “পরিবারের প্রত্যেকটি নারী হল ঈশ্বরের আশীর্বাদ স্বরূপ। যারা শুধুমাত্র নিজেদের জন্যেই নয় অন্যদের জন্যেও আশার বার্তা বহন করে নিয়ে আসে।
খ্রিস্টযাগ শেষে তিনি আগত সকল মহিলাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ আশীর্বাদ প্রদান করেন।
এরপর ধর্মপল্লীর প্যারিস হলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাধর্মপাল টমাস ডি’সুজা, ফাদার ব্যাসিল মান্ডি, মহিলা সংগঠনের সেক্রেটারি সাধনা ভিনসেন্ট এবং বর্ষিয়ান মহিলা সদস্যা খ্রিষ্টীয় সংগীতশিল্পী গীতা রড্রিক।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থাপিকা আগত সকলকে স্বাগত জানান এবং অতিথিবৃন্দদের আসন গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। কলকাতা মহাপ্রদেশের মহিলা সংগঠনের সেক্রেটারি সন্ধ্যা ভিনসেন্ট বলেন আমাদের এই বছরের থিম হল এক্সেলারেট অর্থাৎ একটি গাড়িকে দ্রুত চালানোর জন্য যেমন এই যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় ঠিক আমাদের মহিলাদেরও একইভাবে তৎপর হতে হবে এবং বিভিন্ন কাজের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন “এই উদযাপন শুধুমাত্র একদিনের নয়, আমাদের উদ্দেশ্য হল প্রত্যেকটি বোনেদের স্বাবলম্বী করে তোলা।”
ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার ব্যাসেল মান্ডি বলেন আজ অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন যেখানে আমরা আমাদের মায়েদের জন্য কিছু করার তৎপরতা গ্রহণ করেছি।
উক্ত এই অনুষ্ঠানে কলকাতা মহাধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে প্রায় দুশো জনেরও বেশি মহিলা সদস্যরা এসেছিলেন এই আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য।
অনুষ্ঠান শেষে প্রীতি ভোজের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
প্রতিবেদন- তেরেসা রোজারিও