বনপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধন্যা মা মারীয়ার জন্মদিন উদযাপন

গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিন্টাব্দ, বনপাড়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধন্যা মা মারীয়ার জন্মদিন উদযাপন ও রোজারিমালা সেমিনার।
লুর্দের রাণী মারীয়ার ধর্মপল্লীর আয়োজনে ও হলি ফ্যামিলী রোজারি মিনিস্ট্রি রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের সহযোগিতায় অর্ধদিবসব্যাপী এই বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এই সেমিনারের মূলসুর ছিল, “পুণ্যবতী মারীয়া: দয়াময়ী মাতা”। এতে ফাদার, সিস্টার ও মারীয়া সংঘের সদস্যসহ মোট ৮৫জন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য মা- মারীয়ার জন্মদিন উপলক্ষে মারীয়া সংঘের মায়েরা আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি স্বরুপ নয়দিন নভেনা করেন। অর্ধদিবসব্যাপী সেমিনারের সূচনা হয় পবিত্র খ্রিস্টযাগের মধ্য দিয়ে। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার দিলীপ এস কস্তা।
ফাদার দিলীপ এস কস্তা তার উপদেশ বাণীতে বলেন, “মা মারীয়ার জন্মোৎসব ক্যাথলিক মন্ডলীর অন্যতম আনন্দের দিন, যা প্রতি বছর ৮ই সেপ্টেম্বর মহাধুমধামে পালিত হয়। ঐতিহ্য অনুসারে, ধার্মিক দম্পতি যোয়াকিম ও আন্না দীর্ঘ প্রতীক্ষা, প্রার্থনা ও বিশ্বাসের পর ঈশ্বরের আশীর্বাদে কন্যা সন্তানেরূপে মারীয়াকে লাভ করেন।”
“মারীয়ার এই জন্ম মানবজাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে, কারণ তাঁর মাধ্যমেই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন আমাদের পরিত্রাণদাতা যীশু খ্রিস্ট। চতুর্থ শতাব্দী থেকেই পূর্ব মন্ডলীতে এই উৎসব পালিত হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে,” বলেন ফাদার কস্তা।
মূলসুরের আলোকে ফাদার সুরেশ পিউরিফিকেশন বলেন, “মা মারীয়া তাঁর পুত্রের ন্যায় আমাদের সকলকে ভালবাসেন তাই আমরা সবসময় মায়ের দ্বারস্থ হই এবং তার কাছে মিনতি জানাই।”
ফাদার অনিল মারান্ডী জপমালা প্রার্থনা বিষয়ে বলেন, “আমাদের বিপদে আপদে জপমালা প্রার্থনা বড় একটি সহায়ক। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এ বছর লুর্দে তীর্থ করার আর সেখানে লক্ষ্য করেছি মা মারীয়ার প্রতি মানুষের কত বিশ্বাস। তাই আসুন আমরা আবার পরিবারে জপমালা প্রার্থনা শুরু করি।”
অংশগ্রহণকারী মারীয়া সংঘের একজন মা রেখা কোড়াইয়া তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমি প্রতিনিয়ত মা মারীয়ার কাছে প্রার্থনা করি আর অনেক ফলও পেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “মা মারীয়া আমাকে তাঁর সন্তানের মতোই আগলে রেখেছেন। আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মা মারীয়ার সম্পর্কে অনেক কিছু শুনে আরো ভালো লাগছে।” - লর্ড রোজারিও