চাঁদপুকুর শান্তিরাজ খ্রিষ্ট ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপল্লীর পর্ব দিবস এবং হস্তার্পন সাক্রামেন্ত প্রদান

শান্তিরাজ খ্রিষ্ট ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপল্লীর পর্ব দিবস এবং হস্তার্পন সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান

গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত চাঁদপুকুর শান্তিরাজ খ্রিষ্ট ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপল্লীর পর্ব দিবস এবং হস্তার্পন সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান।

খ্রিষ্টভক্তদের আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর  উদযাপিত হলো ধর্মপল্লীর পর্ব দিবস। একই সাথে এই দিনকে ঘিরে প্রভু যীশু খ্রিষ্টের জন্মজয়ন্তীর জুবিলী, নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।

ধর্মপল্লীর এই পর্ব দিবসকে কেন্দ্র করে আধ্যাত্নিক প্রস্তুতি হিসেবে নয়দিন ব্যাপি গ্রাম দল ভিত্তিক নভেনার পবিত্র খ্রিষ্টযাগ, নভেনা প্রার্থনা এবং পাপ স্বীকার সংস্কার গ্রহনের ব্যবস্থা করা হয়।

দীর্ঘদিন আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর ধর্মপল্লীর পর্বদিনে বিভিন্ন গ্রামের ৩৭জন ছেলেমেয়েদের হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান করা হয়।

পর্বদিবসের আগের দিন সন্ধ্যায় বিশ্বের শান্তি কামনায় মা মারীয়ার মধ্যস্থতায় কাজীপাড়ায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠান আলোক শোভাযাত্রা করা হয়। 

এই পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন বিশপ জের্ভাস রোজারিও। খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে বিশপ রোজারিও বলেন, “শান্তিরাজ খ্রিষ্ট হচ্ছেন আমাদের জীবনের আধ্যাত্নিক রাজা, তাকে পথ করেই আমাদের জীবনকে পরিচালনা করতে হবে।

হস্তার্পন সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান

বিশপ হস্তার্পণ প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, “সাতটি সাক্রামেন্তের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্রামেন্ত হলো হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত। আজকের এই দিনে ধর্মপল্লীর ছেলে-মেয়েরা হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত সংস্কার গ্রহণ করতে যাচ্ছে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন।

আজকের এই দিনে তোমরা যে বিশ্বাস আকাঙ্খা নিয়ে পবিত্র আত্মাকে গ্রহণ করতে যাচ্ছ, সেই বিশ্বাস আকাঙ্খা যেন সারাজীবন ধরে রাখতে পারো,” বলেন বিশপ রোজারিও।

এই পর্বদিবসকে ঘিরে সাঁওতাল উরাঁও কৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত প্রায় এক হাজারের মতো খ্রিষ্টভক্ত অংশগ্রহণ করেন।

পরিশেষে ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার বাবলু কোড়াইয়া সবাইকে ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মধ্য দিয়ে এই পর্ব দিবসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। - চাঁদপুকুর ধর্মপল্লী