প্রভু নিবেদন ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো বয়ঃসন্ধিকাল ও ধর্মশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার

সুরশুনিপাড়া ধর্মপল্লীতে যুবক-যুবতীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বয়ঃসন্ধিকাল ও ধর্মশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার

গত ২২ আগষ্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অর্ন্তগত সুরশুনিপাড়া প্রভু নিবেদন ধর্মপল্লীতে যুবক-যুবতীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বয়ঃসন্ধিকাল ধর্মশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার।

রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় পরিবার জীবন পরিষদের সহযোগিতায় এই বয়ঃসন্ধিকাল ধর্মশিক্ষা বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। 

এই সেমিনারের মূলসুর ছিল, “খ্রিস্টই আমাদের আশার আলো এতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের ২২৫ জন হাইস্কুল পড়ুয়া কিশোর-কিশোরী এবং ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী যুবক-যুবতী অংশগহণ করেন।

ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রদীপ যোসেফ কস্তা বলেন, “প্রভু যিশু যুবাদের ভালবাসেন কারণ যুবক-যুবতীরা প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ। আজকে যারা তরুণ তারাই পরিবার, সমাজ, দেশ, জাতি খ্রিস্টমণ্ডলীর ভবিষ্যৎ কর্ণধার।

খ্রিস্ট জন্ম জয়ন্তীর এই জুবিলী বর্ষে যুবাদের প্রতি প্রভু যিশুর আহ্বান হল, তারা যেন তাদের তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ঈশ্বর মানবসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে,” বলেন ফাদার কস্তা।

সেমিনারের অংশগহণকারী যুবক-যুবতীরা

সেমিনারের শুরুতে ছিলো খ্রিস্টযাগ। খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন বনপাড়া পোপ ষষ্ঠ পল সেমিনারীর পরিচালক ফাদার সুরেশ পিউরীফিকেশন। খ্রিস্টযাগের উপদেশে ফাদার বলেন, “যুবক-যুবতীরা হলো মণ্ডলীর প্রাণ। তারাই একদিন মণ্ডলী পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তাই তাদের করণীয় হল: নিজ নিজ জীবনাহ্বান আবিষ্কার এবং ভবিষ্যৎ সেবাকাজের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।

ফাদার উত্তম রোজারিও খ্রিস্টধর্মশিক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি পবিত্র বাইবেল পাঠ, নিয়মিত খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ, ঈশ্বরের দশ আজ্ঞা মণ্ডলীর পাঁচ আজ্ঞা মেনে চলার গুরুত্ব সম্পর্কে এবং খ্রিস্টিয় জীবনে বিশ্বাসমন্ত্র প্রভুর প্রার্থনার তাৎপর্য সম্পর্কে উপস্থাপন করেন।

বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে বেনেডিক্ট মূর্মূ প্রাণবন্ত উপস্থাপনা প্রদান করেন। তিনি বয়ঃসন্ধিকালের বৈশিষ্ট্য, তাৎপর্য, চ্যালেঞ্জ সময়ে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।

ডিকন অনু গমেজ ওয়াইসিএস আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “ওয়াইসিএস আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ছেলে-মেয়েরা খ্রিস্টিয় আদর্শে নিজেদের জীবন গঠন করতে সক্ষম হবে। তাই প্রতিটি গ্রামে ধর্মপল্লীর কেন্দ্রে আন্দোলন জোরদার করা জরুরী।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী নারায়নপুর গ্রামের স্মৃতি হাঁসদা তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “এই সেমিনার থেকে পবিত্র বাইবেল পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এখন থেকে আমি নিয়মিত পবিত্র বাইবেল পাঠ করব।

অংশগ্রহণকারী পিয়াল কিস্কু বলেন, “বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে আমার খুব একটা ধারণা ছিল না। এই সেমিনার থেকে আমি বয়ঃসন্ধিকাল সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এখন আমি আমার দায়িত্ব সম্পর্কে আরো সচেতন হবো - ডিকন অনু গমেজ