তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে পবিত্র খ্রিস্টযাগ অর্পণ করেন ভাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান

তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে পবিত্র খ্রিস্টযাগ অর্পণ করেন কার্ডিনাল জর্জ কোভাকাদ

গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে পবিত্র খ্রিস্টযাগ অর্পণ করেন ভাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রধান  (প্রিফেক্ট) কার্ডিনাল জর্জ কোভাকাদ।

এই পবিত্র খ্রিস্টযাগে উপস্থিত ছিলেন ভাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রতিনিধিদল, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভাটিকানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন আর্চবিশপ বিজয় নিসফরাস ডি'ক্রুজআর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি সহ বিভিন্ন ধর্মপ্রদেশ থেকে আগত বিশপগণ, ফাদারগণ, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সিস্টারগণ, ব্রাদারগণ এবং খ্রিস্টভক্তগণ।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের শুরুতেই আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি'ক্রুজ ভাটিকানের আন্তঃধর্মীয় সংলাপ বিষয়ক দপ্তরের প্রতিনিধিদলকে শুভেচ্ছা জানান এবং বাংলাদেশ মন্ডলীর কিছু তথ্য এবং তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে কার্ডিনাল জর্জ কোভাকাদ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা যে ঈশ্বরের মহান অত্ত্বিকে বিশ্বাস ও স্বীকার করি, সে তুলনা করে না, বরং অন্যের জন্য স্থান কালে অন্য ধর্মের, বিশ্বাসের, কৃষ্টির, অবস্থার মানুষকে স্থান দেয়া। তাদের শ্রদ্ধা সন্মান করা।”

পবিত্র খ্রিস্টযাগে উপস্থিত খ্রিস্টভক্তগণ

তাই অন্যদের সাথে সম্প্রীতিবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, তা অপসনাল বা ঐচ্ছিক নয়। সম্প্রীতির এমন চিন্তা ঈশ্বর যে সার্বভৌম সর্বশক্তিমান এই বিশ্বাস থেকেই আসে,” বলেন কার্ডিনাল কোভাকাদ।

মঙ্গলসমাচারের আলোকে তিনি আরো বলেন, “যীশুর শিষ্যত্ব, যীশুর শিষ্য হতে গেলে তাকে অনুসরণ করতে গেলে সবকিছু ছাড়তে হবে। প্রতিকী অর্থে “বাবা-মা, স্ত্রী-পুত্র-ছাড়ার অর্থই হল এই সংসারে প্রতি, বিষয় আসয়ের প্রতি অতিমাত্রায় আসক্ত না হওয়া। যীশুর শিষ্যত্ব দাবী করে চরম আত্মত্যাগ, যীশুর কাছে পূর্ণ আত্ম নিবেদন, যা জাগতিক প্রেম-প্রীতি ভালবাসার উর্ধ্বে।”

উপদেশ বাণীর শেষে কার্ডিনাল, পোপ চতুর্দশ লিও ১৮ মে তাঁর পোপীয় দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই যে বাণী সবাইকে দিয়েছিলেন তা উল্লেখ করে বলেন, “ভাইবোনেরা, আমি চাই আমাদের প্রথম মহৎ আকাংখাই যেন হয় একটি মিলনাত্বক মন্ডলী গঠন, যেন হয়ে উঠি ঐক্য ও মিলনের এটি চিহ্ন যা এই হয়ে উঠবে পুনর্মিলনাত্বক বিশ্বের জন্য একটি খামি।”

এই খ্রীষ্টযাগে আসুন প্রার্থনা করি যেন আমাদের জীবন যেন হয়ে উঠে ঈশ্বরপ্রেমের একটি জীবন্ত সাক্ষ্য।

ঈশ্বর আমাদের একতা, মিলন ও পুনর্মিলনের মাধ্যম বা দূত হওয়ার আহ্বান জানান; আমরা যেন বাস্তব জীবনসাক্ষ্য দ্বারা তাঁর এই বিরামহীন ডাকে সাড়া দিতে দিতে কখনই ক্লান্ত না হয়ে পড়ি।

পবিত্র খ্রিস্টযাগের  শেষে বিশপ সুব্রত গমেজ বাংলাদেশ মন্ডলীর পক্ষে সবাই ধন্যবাদ জানান। - আরভিএ সংবাদ