তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান

তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান

গত ১৪ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত তেজগাঁও হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।

দীর্ঘদিন আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর হলি রোজারি ধর্মপল্লীর ৫২জন প্রার্থীকে হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করা হয়।

এই হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান করেন আর্চবিশপ বিজয় এন. ডিক্রুশ। এছাড়াও সাথে ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার জয়ন্ত গমেজ সহ আরো কয়েকজন যাজক।

খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে  আর্চবিশপ বিজয় এন. ডিক্রুশ বলেন, “আমরা দেখি যীশুর শিষ্যরা পবিত্র আত্মাকে লাভ করেন পঞ্চাশত্তমী পর্বের দিন, ঠিক ঐরকম ভাবে আমরা পবিত্রতাকে আজকে লাভ করতে যাচ্ছি পূর্ণাঙ্গভাবে এই হস্তার্পণ সংস্কার এর মধ্য দিয়ে। আমাদের আসলে একটি মৌলিক আহ্বান রয়েছে আর সেটি হচ্ছে পবিত্র হওয়ার আহ্বান।

যীশু বলেছেন আমার পিতা যেমন পবিত্র তেমনি তোমরা পবিত্র হয়ে উঠো। এটি হল খ্রিস্টীয় জীবনের মৌলিক আহ্বান। এজন্য তোমরা যারা আজকে এই হস্তার্পণ সংস্কার গ্রহণ করছো তোমাদেরকে কিন্তু এই পবিত্র হওয়ার সাধনায় প্রবেশ করতে হবে,” বলেন আর্চবিশপ ডিক্রুশ।

হলি রোজারি ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো হস্তার্পণ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান

আর্চবিশপ আরো বলেন, “তোমরা এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে আরো ভালো মানুষ হয়ে উঠবে। তোমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করবে, দরিদ্রদের হযোগিতা করবে, রোগীদের কাছে গিয়ে প্রার্থনা করবে এবং তাদের সেবা করবে।

পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে একটা বিশেষ শক্তি নিয়ে আসে যা আমরা দেখতে পাই না, কিন্তু আমাদের মনে তা উপলব্ধি করতে পারি, যেভাবে প্রেরিত শিষ্যগণ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তাদের আর ভয় নেই এবং তারা বের হয়ে বাণী প্রচার কাজ শুরু করেছিলেন। আমরা এই হস্তার্পণ সংস্কারের মধ্য দিয়ে পবিত্রতার সাতটি দান আমাদের নিজেদের মধ্যে লাভ করি,” বলেন আর্চবিশপ।

খ্রীষ্টযাগের শেষে তেজগাঁও ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার জয়ন্ত এস গমেজ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সাথে আর্চবিশপ মহোদয়কে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং ৫২ জন ছেলে মেয়েদের হাতে প্রশংসা পত্র এবং ছোট্ট  উপহার তুলে দেওয়া হয়। - টমাস রোজারিও