সাভার ধরেন্ডা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার অনুষ্ঠান
গত ২৩ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত সাভার ধরেন্ডা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ প্রদান সংস্কার অনুষ্ঠান।
দীর্ঘ দিন আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের ৫২জন ছেলে-মেয়ে প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ করে।
প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার কোমল খান।
খ্রীষ্টযাগের উপদেশ বাণীতে ফাদার কোমল খান বলেন, “আজকে আমার খুব ভয় করছে, কারণ আজকে আমি রাজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি, যে রাজাকে তোমরা গ্রহণ করতে যাচ্ছো এই রুটি আকারে।”
“আজ সাধারণকালের শেষ রবিবার আর মন্ডলীতে আজ আমরা পালন করছি খ্রীষ্ট রাজার মহাপর্ব দিবস। এই মহাপর্ব দিবস উপলক্ষে আধ্যাত্নিক ও বাহ্যিকভাবে অনেক প্রস্তুতি নিয়েছি তাঁকে আমাদের হৃদয়ে গ্রহণ করার জন্য। প্রিয় ছেলে মেয়েরা আজ তোমাদের জীবনের জন্য একটি বিশেষ স্মরণীয় দিন কারণ তোমরা গ্রহণ করবে সেই যীশুকে যিনি ক্রুশের রাজা, তোমাদের বন্ধু, যিনি তোমাদের হৃদয়ের রাজা,” বলেন ফাদার খান।
তিনি আরো বলেন, “এই পবিত্র খ্রিস্টপ্রসাদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমরা আরো বেশি পবিত্র হয়ে উঠবে। একই সাথে তোমরা খ্রিস্টকে নিজের মধ্যে ধারণ করবে এবং বহন করবে।”
প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণকারী একজন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমার অনেক ইচ্ছা ছিল যে, কবে আমি খ্রীষ্টপ্রসাদ আকারে যীশুকে আমার অন্তরে গ্রহণ করবো আর আজ আমি তা করতে পেরেছি তাই ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ জানাই।”
খ্রীষ্টযাগ শেষে প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। - টমাস রোজারিও