পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস বলেন ভালোবাসাই হলো “জীবন এবং শক্তির” মূল প্রেরণা

পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের সিঙ্গাপুর সফর

পবিত্র খিষ্টযাগে পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস ভক্ত জনগনকে বিশেষ আহ্বান জানান যেন তাদের দেশের প্রাপ্ত সকল কিছুর জন্য তারা ঈশ্বরকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন, কারন ঈশ্বর সবোর্চ্চভাবে সিঙ্গাপুরকে বিশেষ অনুগ্রহ দানে ধন্য করেছেন , দিযেছেন  প্রাণবন্ত মন্ডলী, দিয়েছেন বিভিন্ন ধর্মের সাথে একত্রে বসবাস করার সাহস এবং সম্মিলিতভাবে গঠনমূলক সংলাপ করার প্রয়াস ।

ভালোবাসার উপর জোর দিয়ে পোপ ফ্রান্সিস বলেন, “প্রকৃত ভালোবাসা ছাড়া কোন কিছু লাভ করা যায় না। ভালোবাসা ছাড়া কোন জীবন নেই,  প্রেরণা নেই, গড়ে তোলার কোন শক্তি নেই”।

যা কিছু ভালোবাসা তাই শ্রদ্ধা পাপবার যোগ্য। এই ভালোবাসা ঘৃনার, সংহতির  এবং উদারতার চালিকা শক্তি। এই ভালোবাসা না থাকলে সিঙ্গাপুর হয়ত এত সুন্দর শহর রুপে গড়ে উঠতো না”, বলেন পুন্যপিতা ।

তিনি আরো উল্লেখ্য করেছেন যে, আমরা যখন অন্যদের সাথে আমাদের প্রেম, ভালোবাসা  সহোভাগিতা করি তখন সেখানে ঈশ্বর প্রেমের প্রকাশ দেখতে পাই কারন ঈশ্বর নিজেই প্রেম। ভালোবসা ছাড়া আমরা কিছুই নই। তাই খ্রিষ্টের  অনুসারী হিসেবে আমাদের দৈন্দদিন জীবনে ঈশ্বরের উপর পূর্ন আস্থা রাখতে হবে।

 ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয় জন পলের সিঙ্গাপুর সফরের  সময় তিনি যে বাণীটি ব্যক্ত করেছিলেন সে বাণী স্মরণ করে পুন্য পিতা বলেন,  “এই  ভালোবাসার  জন্যই এই জাতির মধ্যে রয়েছে গভীর বিশ্বাস, এবং পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ । বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, বৈচিত্রের মধ্যে  থেকে ও শান্তিতে বসবাস করছে এই সিঙ্গাপুরবাসী”।

তৃতীয় যে বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোকপাত করেন তা হলো বিশ্বাস বিস্তারের আদর্শ মা মারীয়া এবং সাধু ফ্রান্সিস জেভিয়ার। এই দুই ব্যাক্তিত্বের মধ্যে আমরা প্রেমপূর্ন হৃদয়কে দেখতে পাই।  তিনি  মা মারীয়াকে আশা এবং সান্তনার উৎস হিসেবে প্রশংসা করেছেন । কারন মা মারীয়াকে আমরা  দুঃখ এবং আনন্দের সময়তেই মা বলে ডেকে উঠি। মা কখনই তার সন্তানদের ত্যাগ করেন না। 

অন্যদিকে সাধু ফ্রান্সিস যিনি ১৫৫২ খ্রিষ্টাব্দে সিঙ্গাপুরে ধর্মপ্রচারক হিসেবে  এসেছিলেন। আলোর দিশারী হয়ে তিনি সিঙ্গাপুরে এসেছেন অনেক কষ্ট সহ্য করেও তিনি তার প্রেম অকাতরে মানুষের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন । তিনি মানুষকে বুঝিয়ে দিয়ছেন প্রেম পূর্ন সেবা কাজের মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে আরো গভীর ভাবে কাছে পাওয়া যায়।

 সর্বশেষে তিনি সেন্ট ফ্রান্সিসের আদর্শ অনুসরণ করে সবাইকে প্রত্যেক  ধর্মের ভাইবোনদের সাথে পারস্পারিক ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান । - আরভিএ সংবাদ