ইন্দোনেশিয়া সফরকালীন সময়ে পোপের শান্তি চুক্তির সাক্ষর
পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস ইন্দোনেশিয়ায় তার পালকীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির চূড়ান্ত লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে সাক্ষর প্রদান করবেন।
জার্কাতার ইস্তিকলাল মসজিদে পোপের সৌজন্য সাক্ষাতের ক্ষনে এই সাক্ষর প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদের ইমাম নাসারউদ্দিন উমরের মতে “এই চুক্তি সাক্ষরটি স্থানীয়ভাবে অর্থাৎ আন্তঃধর্মীয় সকল পযার্য়ের মানুষের মধ্যে শান্তি ,মিলন, একতার এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধানের উপর যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার লাভ করবে”।
এছাড়াও পোপের এই সফরের প্রাক্কালে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের এক বৈঠকে তিনি ব্যক্ত করেন যে ইস্তিকলাল মসজিদ এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে যেখানে সারা বিশ্ব দেখতে পাবে যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে ভাটিকানের সাথে ইন্দোনেশিয়ার একটি শান্তি চুক্তির স্বাক্ষরিত হয়েছে।
পোপকে স্বাগত জানানের জন্য প্রায় একলক্ষ বিশহাজর মানুষ মসজিদের ময়দানে উপস্থিত থাকবেন বলেন ইমাম নাসারউদ্দিন।
উল্লেখ্য যে ,দেশটির স্বাধীনতার স্মরণে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ইতিহাস ও স্মৃতি বিজরিত টানেল অফ ফ্রেন্ডশিপ আওয়ার লেডি অফ দ্য অ্যাসাম্পশন ক্যাথলিক ক্যাথিড্রালের সাথে সংযক্ত রয়েছে।
২৮.৩ মিটার এই টানেলটি ইন্দেনেশিয়ার সরকার ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ধর্মীয় শান্তি ও সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে তৈরি করেছিলেন।
পোপের এই আন্তঃধর্মীয় বৈঠকটি মুসলিম শাসিত দেশে অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ায় তার সফরের অন্যতম প্রধান বিষয় কারন এই বৃহৎ জনসংখ্যার মধ্যে ক্যাথলিক জনগোষ্ঠীর বসবাস সংখ্যা মাত্র ৩ শতাংশ।
২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ইউএস কমিশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম এর তথ্যানুসারে পোপের এই সফর দেশটির মধ্যে পুর্বের তুলনায় ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস ৩ থেকে ৬ তারিখ পযর্ন্ত ইন্দোনেশিয়ায় থাকবেন এবং দেশটির রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোর সাথে বৈঠক করবেন এবং পরবর্তীতে গেলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়ামে সমাবেশে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।
পুন্যপিতার এই পালকীয় সফরটি একটি র্দীঘ সময়ের একটি যাত্রা কারন একই সময়ে তিনি পূর্ব তিমুর , পাপুয়া নিউ গিনি এবং সিঙ্গাপুর সফর করবেন। - আরভিএ সংবাদ