ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশে অনুষ্ঠিত হলো বাৎসরিক পালকীয় সম্মেলন
গত ২০ থেকে ২২ নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত রমনা ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপ্রদেশীয় পালকীয় সম্মেলন।
এই পালকীয় সম্মেলনের মূলসুর ছিল, “পবিত্র আত্মার প্রেরণায় ব্যক্তি, সমাজ, পরিবার ও মণ্ডলীর জীবনে রূপান্তর”। এতে মহাধর্মপ্রদেশের বিভিন্ন ধর্মপল্লী থেকে সেবা প্রদানকারী বিশপ, ফাদার, সিস্টার, ব্রাদার এবং খ্রিস্টভক্তগণ মিলে প্রায় ২৪৩জন অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ক্রুশ।
আর্চবিশপ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “পালকীয় সম্মেলন ধর্মপ্রদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় কারণ এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব। তাই আপনাদের সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করি।”
পরবর্তীতে পবিত্র আত্নাকে আহ্বান ও মোমবাতি নিয়ে শোভাযাত্রা করে পুন্য দরজা দিয়ে সবাই গির্জা ঘরে প্রবেশ করে। পবিত্র আত্মায় পরিচালিত হওয়া ও আমাদের জীবনে আত্মার প্রভাব নিয়ে একটি উপস্থাপনা রাখেন ফাদার স্টেনলি কস্তা। এরপর সকলে একত্রে সাক্রামেন্তীয় আরাধনা প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন।
দ্বিতীয় দিন অধিবেশনের শুরুতেই সহভাগিতা করেন আর্চবিশপ বিজয় এন. ডি’ ক্রুশ। উপস্থাপনাটি ছিল পবিত্র আত্মার প্রেরণায় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও মণ্ডলীর জীবনে রূপান্তর।
এছাড়াও সিস্টার পুষ্প গমেজ, সিএসসি সহভাগিতা করেন সংস্কারীয় জীবনে পবিত্র আত্মার ভূমিকা। একই সাথে নিশারণ থিওফিল নকরেক সহভাগিতা করেন পরিবার ও সমাজে ন্যায্যতা, একতা, মিলন-শান্তি-স্থাপন এর উপর।
পবিত্র খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে বিশপ সুব্রত গমেজ বলেন, “আমরা অংশগ্রহণমূলক অবস্থান এর মধ্য দিয়ে তীর্থযাত্রা করছি। আমাদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে, আমরা কোথায় যাত্রা করছি? আমরা কোথায় যাব? আমাদের এই যাত্রার লক্ষ্য কি? আর পোপ ফ্রান্সিস আমাদের কাছে সুন্দরভাবে উল্লেখ করেছেন যে, আমাদের এই যাত্রার গন্তব্য হচ্ছে ঈশ্বরের সাথে মিলিত হওয়া।”
বিশপ আরও বলেন, “পালকীয় সম্মেলনের দলীয় আলোচনায় আমরা শুনতে পেয়েছি যে, আমাদের পরিবারকে, সমাজকে, মন্ডলীকে যদি সিনডাল মন্ডলী করতে চাই তাহলে বাস্তব ভিত্তিক কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে এবং সেই বিষয়ে চিন্তা করতে।”
“আমাদের মানব জীবনে অনেক মন্দতা, দুর্বলতা, পাপময়তা রয়েছে সেই গুলো জয় করতে হবে এবং প্রভু যীশুর দেখানো পথে আমাদের যাত্রা করতে হবে,” বলেন বিশপ গমেজ।
এই পালকীয় সম্মেলনের মধ্যে ছিল দলীয় আলোচনা, প্রার্থনা অনুষ্ঠান, পবিত্র খ্রিস্টযাগ, বিভিন্ন বিষয়ের উপর উপস্থাপনা। - টমাস রোজারিও