পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে বাংলাদেশে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে তিন দিন রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার এই শোক পালন করা হবে। বুধবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে ক্যাথলিক চার্চের প্রধান এবং ভাটিকান সিটি স্টেটের রাষ্ট্রপ্রধান পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) থেকে ২৬ এপ্রিল (শনিবার) ২০২৫ পর্যন্ত তিন দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
এই তিন দিন বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। এ ছাড়া পোপ ফ্রান্সিসের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
গত সোমবার সকালে ভাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা যান পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এক যুগের বেশি সময় ক্যাথলিক চার্চের প্রধান যাজক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি।
পোপ ফ্রান্সিস তার সমগ্র জীবন সৃষ্টিকর্তা ও মন্ডলীর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।
জীবন দশায় তার কাজ দিয়ে আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে সত্যনিষ্ঠা, সাহস ও সর্বজনীন ভালোবাসার মাধ্যমে, মঙ্গলসমাচারের বানী এবং মূল্যবোধগুলো অনুসরণ করে বাঁচতে হয়! বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, তাদের সাহায্য করতে হয়।
পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন এক অসাধারণ মানবতাবাদী নেতা, যিনি শান্তি, সহানুভূতি এবং সাম্যের বার্তা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে কাথলিক চার্চ বিশ্বব্যাপী দরিদ্র, শরণার্থী, অভিবাসী এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি ধর্মীয় সহাবস্থান এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের এক গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠস্বর ছিলেন। বিশ্ব ধর্মীয় নেতৃত্বে তাঁর অবদান ও মানবিক মূল্যবোধ সকলের অনুপ্রেরণা।