চলে গেলেন চিত্রবাণীর উজ্জ্বল নক্ষত্র শ্রদ্ধেয় ফঃ পি.জে. যোসেফ এস জে
সকাল হতে না হতেই দুঃসংবাদ টা দিল একদা চিত্রবাণীর শিক্ষার্থী অরুন্ধুতী," পি.জে আর নেই"। নিজের কাছেই যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না কথাটা।যাইহোক দুঃসংবাদ টার সত্যতার নিরসন করল চিত্রবাণীর ব্রাদার।
ফঃ বিবেক জানান, "গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি কলকাতার নাইটেঙ্গল হাসপাতালে ভর্তি হনএবং আই.সি.ইউ.তে থাকেন।চিকিৎসকরা তার হৃদরোগ জনিত বাইপাস সার্জারির পরামর্শ দেন।“
তিনি আরও বলেন, “সেইমত উডল্যান্ডসে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হয় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজ সকাল ৬.৩০ মিনিটে ফঃ পি.জে.গুরুতর হৃদজনিত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।"
সমগ্র মিডিয়া জগতে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। বিশেষত 'যীশু সমাজ ও চিত্রবাণীর ইতিহাসের এক বর্ণজ্জ্বোল অধ্যায়ের অবসান। সেইসঙ্গে কাথলিক খ্রীষ্টমণ্ডলীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যেন অকাল ছন্দপতন ঘটে গেল।
তিনি শুধুমাত্র চিত্রবাণীর পরিচালক ছিলেন না, একাধিক সামাজিক গণমাধ্যমের সঙ্গে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। একসময় তিনি দীর্ঘদিন রেডিও ভেরিতাস এশিয়ার বেঙ্গলি সার্ভিস কাউন্সিলের সচিব ছিলেন। ফেডারেশন অফ ফিল্ম সোসাইটিস অফ ইন্ডিয়া ও সিগনিস ন্যাশনালের সদস্য ছিলেন। বেশ কয়েক বছর তিনি ভ্যাটিকান রেডিওতেও কাজ করেন।
প্রভু যীশু গির্জার রেক্টর হিসেবে তিনি বহু অবদান রেখেছেন। এছাড়াও বহু কমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে যুক্ত ছিলেন। এমন এক বর্ণময় জীবনের অকাল প্রয়াণে সকলেই শোকাহত।
আগামী মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর, কলকাতায় প্রভু যীশু গির্জায় সকাল ০৯ টায় তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে।
এই শেষ কৃত্য অনুষ্ঠানটি রেডিও ভেরিতাস এশিয়া – বাংলা বিভগের facebook Page এ সকাল ০৯ টা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।