পোপ ফ্রান্সিস পালকীয় সফরের চূড়ান্ত গন্তব্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন

পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস তিমুর - লেস্তে তার পালকীয় সফর শেষে বর্তমানে সিঙ্গাপুর অবস্থান করছেন। তার এই বর্ষীয়ান অবস্থায় বারো দিনের সফরের মধ্যে  সিঙ্গাপুর সফরের মধ্য দিয়ে তার এই পালকীয় সফর যাত্রা শেষ হবে।

সিঙ্গাপুরের বিমানবন্দরে  অবতরণকালে পুন্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসকে দেশের সংস্কৃতি অনুসারে বিভিন্ন সম্প্রদায় , যুব মন্ত্রী ও তার  স্ত্রী সহ এবং সিঙ্গাপুরের  অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত জ্যানেট অ্যাং সহ তাকে কাথলিক খ্রিষ্টভক্তদের মধ্য দিয়ে জুরাসিক মাইলে  তাকে উষ্ণ স্বাগত জানানো হয়। এসময় একহাজারের মত খ্রিষ্টভক্ত বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

পোপীয় আগমনকে কেন্দ্র করে  সমন্বয়ক বিভাগের চেয়ারম্যান  ইউসুফ আলী  সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কাছে এই সফরের তাৎপর্য়ের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ তিনি বলেন পোপের এই সফর সকল ধর্মের জন্যই সুফল বয়ে আনবে এবং বিভিন্ন ধর্ম , জাতি , এবং সম্পদায়ের মধ্যে ঐক্যের সেতু বন্ধন হিসেবে জোরালো ভাবে কাজ করবে।

এছাড়া ও সিঙ্গাপুরে ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানদের মধ্যে পারস্পারিক ভালোবাসার বন্ধন রয়েছে এই বন্ধনকে আরো অটুট রাখার জন্য  পোপের সাথে আন্তঃধর্মীয় সংলাপের  মধ্য দিয়ে  পারস্পারিক শান্তি বজায় রাখা সম্ভব বলেন ইউসুফ আলী।

তিনি আরো উল্লেখ্য করেন যে শান্তির ফল হলো  আন্তঃধর্মীয় সংলাপ ।  আর এই  শান্তির মধ্য দিয়ে পারস্পারিক শ্রদ্ধা  ও সহানুভুতি বৃদ্ধি পায় সঙ্গত কারনেই গভীর সংকটের সময়গুলোতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি অক্ষুন্ন থাকে। আর বৈচিত্রময়  ধর্মের  মধ্যে সম্প্রীতিপূর্ণ সহাবস্থান করার ফলে এই দেশটি আজ হয়ে উঠেছে অন্যতম একটি দেশ।

পোপ সফরের জন্য যে লোগে উন্মোচন করা হয়েছে সেটি একটি ক্রুশের  শৈলাকৃতি যা পবিত্র খ্রিষ্টযাগের অর্থ বহন করে যেখানে সিঙ্গাপুরের জাতীয় পতাকার ন্যায় পাঁচটি তারা এবং  যীশু খ্রিষ্টের জন্মের সেই তিন পন্ডিতের আগমনের অর্থ প্রকাশ করে। এই সফরের মুলভাব ঐক্য এবং আশা যা এই ক্রুশের উভয় পাশ সেই ইঙ্গিত বহন করছে। এই ক্রুশ আশা ও ঐক্যের প্রতীক ।

এছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর পুন্যপিতা পোপকে সিঙ্গাপুরের সংসদ ভবনে  রাষ্ট্রপতি থারমান শানমুগারত্নম  এবং প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওয়েংর এর উপস্থিতে  তাকে আনুষ্ঠানিক  ভাবে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।

 পরবর্ততে সিঙ্গাপুর মহাধর্মপ্রদেশের দ্বারা আয়োজিত  ন্যাশনাল ষ্টেডিয়ামে পবিত্র খ্রিষ্টযাগ  অর্পন করবেন। ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি  খ্রিষ্টান যুবাদের ‍সাথে মতবিনিময় সভা করবেন যেখানে তিনি বিভিন্ন ধের্শের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানাবেন।

পোপর সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ভাটিকানের কর্মকর্তাবৃন্দ । রয়েছেন কার্ডিনাল লুইস  আন্তোনীও ট্যাগল , প্রো- প্রিফেক্ট অফ দ্য ডিকাস্টারি ফর ইভান্জলাইজেশন এবং কয়েকজন  আর্চবিশপ। 

সিঙ্গাপুর কোনো একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশ দ্বারা পরিচালিত ছিলো । বর্তমানে এই দেশটিতে ৬ মিলিয়ন লোক বসবাস করে। এর মধ্যে ৩১.১ শতাংশ বৈৗদ্ধ, ১৮.৯ শতাংশ  খ্রিষ্টান ১৫.৬ শতাংশ মুসলিম, ৮.৮ শতাংশ তাওবাদী এবং ৫ শতাংশ হিন্দু  ধর্মাবল্মবী রয়েছে।

উল্লেখ্য পোপ দ্বিতীয় জন পলের সফরের ৩৮ বছর পর পোপ ফ্রান্সিস সিঙ্গাপুর সফরে এসেছেন, এবং এ দেশের সংস্কৃতি ও আন্তধর্মীয় সংলাপের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন।