বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের পল্লীউন্নয়নে খ্রীষ্টরাজার মহা পার্বন দিন
বিগত ২৩ নভেম্বর ২০২৫, বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের ক্যাথিড্রাল আয়োজিত পল্লীউন্নয়নে খ্রীষ্টরাজার মহা পার্বন দিন সাড়ম্ভরে উদযাপিত হল।
খ্রীষ্টযাগ, পরম প্রসাদ সহ শোভাযাত্রা ও শেষে পল্লীউন্নয়নে পবিত্র সংস্কারের আরাধনার মধ্য দিয়েই ভক্তি সহকারে সাধারণ কালের অন্তিম রবিবার সমাপ্ত হল।
বারুইপুরের ক্যাথিড্রাল,আর বি নগর, সোনার পুর,ক্যানিং,বিবির চক,কল্যাণপুর ধর্ম পল্লী যৌথ ভাবে এই পবিত্র ধর্মীয় সমাবেশে সম্মিলিত হয়। বেলা ২ টো সময় মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।একাধিক পুরোহিত সম্মিলিত ভাবে খ্রীষ্টযাগ উদযাপন করেন। পৌরহিত্য করেন ডায়োসিসের মহামান্য বিশপ শ্যামল বোস।
উপদেশে বিশপ মহোদয় ফ্রান্সের তিন যুবকের উপাখ্যানের সূত্র টেনে খ্রীষ্টরাজার মাহাত্ম্যকে ব্যাখ্যা করেন। খ্রীষ্ট এমন এক জন রাজা যিনি ঐশ রাজ্য ফিরিয়ে দিতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন।
ক্ষমা,ভালোবাসা ও করুণা দিয়েই তিনি প্রজাদের হৃদয় জয় করেছিলেন। তিনি চান আমরা যেন তাঁর দিকে মন দিই।
খ্রীষ্টযাগ শেষ হতেই খ্রীষ্টের পরম প্রসাদ নিয়ে ক্যাথিড্রাল থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। নির্ধারিত স্থানে পল্লীবাসীগণ নিজের নিজের ব্যানার নিয়ে যোগদান করেন।নৃত্য, গান ও প্রার্থনা করতে করতে পাড়া পরিক্রমায় অংশ নেন।আবাল -বৃদ্ধ-বনিতার এই উৎসাহ সত্যি প্রশংসনীয়।
শান্তিপূর্ণ ভাবে শোভাযাত্রা শেষ হয় পল্লীউন্নয়ন সমিতির মুক্ত প্রাঙ্গনে।পবিত্র সংস্কারের আরাধনার মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।সুন্দর অনুষ্ঠানের জন্য পাল পুরোহিত ফাদার দীপক এক্কা সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও সকলকে চা পানের নিমন্ত্রণ জানান। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।