লক্ষ্মীবাজার পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ ও হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান

ঢাকার লক্ষ্মীবাজার পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ ও হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান

গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকার লক্ষ্মীবাজার পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠান

প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান অনুষ্ঠানে পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফান গমেজ এবং সহার্পিত খ্রিস্টযাগে অংশগ্রহণ করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ডনেল ক্রুশ সহ আরও জন যাজক।

একই সাথে এই বিশেষ দিনে ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তদের পক্ষ থেকে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের সহকারী বিশপ সুব্রত বনিফান গমেজের আগমন উপলক্ষে শুভেচ্ছা স্বাগতম জানানো হয়।

দীর্ঘ কয়েক মাস আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর লক্ষ্মীবাজার পবিত্র ক্রুশ ধর্মপল্লীর বিভিন্ন ব্লক থেকে ১০ জন ছেলে-মেয়ে প্রথম পাপস্বীকার খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ করেন এবং একই সাথে ১৬ জন ভাই-বোন হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহন করেন।

খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে বিশপ সুব্রত গমেজে বলেন, “আজকে আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত কারণ বিশপ হবার পরে এই প্রথমবারের মতো আমি আজ আমাদের ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের প্রথম ক্যাথিড্রালে এসে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত প্রদান করতে পারছি।

প্রথম পাপস্বীকার খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণকারী ছেলে- মেয়েদের উদ্দেশে বিশপ বলেন, “সাতটি সাক্রামেন্তের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্রামেন্ত হলো খ্রীষ্টপ্রসাদ। তোমরা যারা আজকে এই সাক্রামেন্ত গ্রহণ করবে তোমরা সবাই খ্রিস্টকে আরো গভীরভাবে তোমাদের হৃদয়ে উপলব্দি করতে পারবে।

আজকের এই দিনে তোমরা যে বিশ্বাস আকাঙ্খা নিয়ে যীশুকে খ্রীষ্টপ্রসাদের মাধ্যমে গ্রহণ করছ, সেই বিশ্বাস আকাঙ্খা যেন সারা জীবন ধরে রাখতে পার”, বলেন বিশপ সুব্রত। 

অন্যদিকে হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহনকারীদের উদ্দেশে বিশপ বলেন, “তোমরা আজকে যারা হস্তাপর্ণ সংস্কার গ্রহণ করবে তোমরা প্রত্যেকে পবিত্র আত্মাকে লাভ করে খ্রিস্টের শিষ্য হয়ে উঠবে এবং তোমাদের জীবন দিয়ে তোমরা যিশুকে প্রচার করবে।

প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণকারী একজন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমার অনেক ইচ্ছা ছিল যে, খ্রীষ্টপ্রসাদ আকারে যীশুকে গ্রহণ করবো। আজ আমি সেই খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণ করেছি তাই আমার অন্তরে গর্ববোধ করছি কারণ আমি প্রভু যীশুকে আমার অন্তরে গ্রহণ করতে পেরেছি। আপনারা আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন যেন আমরা যীশুর আদর্শে পথ চলতে পারি।” 

পবিত্র খ্রিস্টযাগের শেষে ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার ডনেল ক্রুশ সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জানান। এর পরে প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার এবং হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহণকারী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। - আরভিএ সংবাদ