খ্রিস্টীয় নববর্ষের শুভেচ্ছা

আজ ১ জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,  নতুন বছরের প্রথম দিন। খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

পুরনো বছরের সকল কষ্ট,  বেদনা,  ব্যর্থতা,  হতাশা ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই নতুন আশা, নতুন স্বপ্নের সাথে।

আশা করি নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনবে অনাবিল সুখ,  শান্তি ও সমৃদ্ধি । একই সাথে নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক নতুন সম্ভাবনা, নতুন উদ্দীপনা। নতুন বছর হোক সবার জন্য সফলতার বছর। নতুন বছরের প্রত্যেকটি দিন হোক সুন্দর ও আনন্দময়।

বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে উদযাপিত উৎসবগুলির মধ্যে একটি হল নতুন বছরের উদযাপন।  গোটা পৃথিবী জুড়ে মানুষদের জন্য সবচেয়ে শুভ দিন নববর্ষের প্রথম দিন,  কারণ এই দিন থেকে নতুন বছর শুরু হয় এবং অত্যন্ত আনন্দের সাথে আসন্ন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।

৩১ শে ডিসেম্বরের শেষে এবং ১ জানুয়ারীর শুরুতে বাংলাদেশ ও ভারত এবং সারা বিশ্বে নববর্ষের গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন শুরু হয়। এই দিনে আমরা সাধারণত সারা বছরের ভালো মন্দ সব স্মৃতি মনে রেখে বিদায়ী বছরকে বিদায় জানাই এবং উৎসাহের সাথে নতুন বছরকে স্বাগত জানাই। 

প্রার্থনা,  শুভ কামনা,  গান এবং নাচ দিয়ে এই খ্রিস্টীয় নববর্ষের দিনটির উদযাপন শুরু করা হয়। আর এই বছর খ্রিস্টীয় নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, “সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিস্টীয় নববর্ষ নতুন স্বপ্ন, নতুন অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে বিশ্বব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।”

তিনি আরো বলেন, “খ্রিস্টীয় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশও প্রস্তুত। বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিস্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিস্টাব্দ তাই আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্যভাবে মিশে আছে।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, “উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দের সমাহার নিয়ে আমাদের জীবনে নববর্ষের আগমন ঘটে। তাই বিগত দিনের ভুল-ভ্রান্তি, ব্যর্থতা ও হতাশাকে দূরে ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নতুন ও ইতিবাচক পরিবর্তনকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকতে হবে।”

আসুন নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলি,  সকল সংকট দূরীভূত করি এবং শান্তিময় পৃথিবী গড়তে সকলে সচেষ্ট থাকি এই প্রত্যাশা করি।