ঢাকার মতিঝিল নটর ডেম কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হল ঐতিহাসিক মহান সান্তাল হুল দিবস

ঢাকার মতিঝিল নটর ডেম কলেজ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সান্তাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ১৬৯তম ঐতিহাসিক সান্তাল হুল দিবস

গত ৫ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকার মতিঝিল নটর ডেম কলেজ প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সান্তাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’র (বিএসডিও) আয়োজনে ঢাকা শহর ও সান্তাল অধ্যুষিত এলাকা থেকে আগত জনগোষ্ঠিরা মিলে এই দিবসটি পালন করে । 

দিনব্যপি এই অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল র‌্যালি, আলোচনা সভা,  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সিদু-কানুর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন ও নিরবতা পালন। এটা ছিল ১৬৯তম ঐতিহাসিক মহান সান্তাল “হুল দিবস ”।

বিএসডিও’র সভাপতি ফাদার আন্তনী হাঁসদার সভাপতিত্বে এদিন প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নটর ডেম কলেজ, ময়মনসিংহ’র ফাদার থাদিউস হেম্ব্রম সিএসসি। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দি খ্রীষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি:, ঢাকা’র প্রেসিডেন্ট ইগ্নাসিওস হেমন্ত কোড়াইয়া,  নাটোর বড়াইগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক সরল মুর্মু।

এ ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ক্রেডিটের ক্রেডিট কমিটির সেক্রেটারি মোশী মন্ডল, বিএসডিও’র সহ  সভাপতি ফাদার ফ্রান্সিস মুর্মু,  উত্তরবঙ্গ বহুমুখী সমিতির চেয়ারম্যান তার্সিসিউস পালমা, নারায়নগঞ্জ উপধর্মপল্লীর ফাদার এলিয়াস হেম্ব্রম প্রমুখ।

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য দিন হলো এই হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, ১৮৫৫ সালে সিধু-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল এর সূচনা হয় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়।

এটিই ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলন। এই আন্দোলনের ফলাফল হিসেবে ইংরেজ সিপাহিদের গুলিতে প্রাণ হারান সিধু আর কানুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। তাঁদের স্মরন করতেই প্রতিবছর পালিত হয় 'হুল দিবস'

এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা।

এই দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনটির মুখপত্র তোনল’র মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দরা।- আরভিএ সংবাদ