আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল নিত্য সাহায্যকরিনি মা মারিয়ার পর্ব

আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপল্লীর প্রতিপলিকা নিত্য সাহায্যকরিনি মা মারিয়ার পর্ব উৎসব

গত ২৭ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, আন্ধারকোঠা ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো ধর্মপল্লীর প্রতিপলিকা নিত্য সাহায্যকরিনি মা মারিয়ার পর্ব উৎসব।

খ্রিস্টভক্তদের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি স্বরুপ ৯ দিনের নভেনা প্রার্থনার পর মহাসমারোহে ধর্মপল্লীর প্রতিপলিকার পর্ব উদযাপন করা হয়।

এই পর্বীয় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন সেন্ট পিটার সেমিনারীর পরিচালক ফাদার শ্যামল জেমস গমেজ। আরও উপস্থিত ছিলেন ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত ফাদার প্রেমু রোজারিও এবং ডিকন ডেভিড পিটার পালমা।

শোভাযাত্রার মাধ্যমে ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্তগণ, ফাদার, ডিকন এবং সিস্টারগণ সকলেই মা মারিয়ার মূর্তি নিয়ে গির্জা ঘরে প্রবেশ করে। শোভাযাত্রা শেষে মা মারিয়ার মূর্তিটি গির্জার নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হয়।

এরপর মারিয়া সেনা সংঘের মায়েরা, মা মারিয়ার গুণের কথা স্মরণ করে ১২ টি প্রদ্বীপ স্থাপন করেন এবং প্রধান পুরোহিত্ত্বকারী মায়ের মূর্তিতে ধুপ ও মালা নিবেদন করার মধ্য দিয়ে খ্রিস্টযাগ শুরু করেন ।

মহাসমারোহে ধর্মপল্লীর প্রতিপলিকা নিত্য সাহায্যকরিনি মা মারিয়ার পর্ব উদযাপন

খ্রিস্টাগের উপদেশে বাণীতে ফাদার শ্যামল গমেজ বলেন, “প্রার্থনা আমাদের জীবনে তখনই পরিপূর্ণতা লাভ করবে যখন তা আমার জীবনাচরণে ফুটে উঠবে। মা মরিয়া চিরকাল ঈশ্বরের দাসী হয়ে ঈশ্বরের প্রতি তার নম্রতা ও বাধ্যতার পরিচয় দিয়েছেন ঠিক আমরাও যেন তাঁর আদর্শে জীবনযাপন করতে পারি তবেই জীবন সার্থক হবে।”

তিনি সকল পিতা মাতাদের উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, “ঈশ্বর আমাদের যে সন্তান দান করেছেন তাদের খ্রিস্টিয় আদর্শে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে যদি আপনারা না পারেন, তাহলে এইটাও একটা পাপের মধ্যেই পড়ে। তাই আমার ছেলে কিভাবে বড় হচ্ছে, কি শিক্ষা নিয়ে বড় হচ্ছে, এগুলো সব কিছু দেখার দায়িত্ব আমাদের, যা আমরা কোনক্রমেই এড়িয়ে যেতে পারব না।”

পরিশেষে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন ব্লক থেকে আগত খ্রিস্টভক্তগণের আয়োজনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয় এবং একই সাথে পর্বীয় বিস্কুট আশীর্বাদ ও তা বিতরণের মধ্যদিয়ে ধর্মপল্লীর প্রতিপলিকা নিত্য সাহায্যকরিনি মা মারিয়ার পর্ব উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। - বেনেডিক্ট তুষার বিশ্বাস