হাসনাবাদ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রায়শ্চিত্তকালীন নির্জন ধ্যান

আঠারো গ্রাম কাথলিক টিচার্স টিমের আয়োজনে হাসনাবাদ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রায়শ্চিত্তকালীন নির্জন ধ্যান

গত এপিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অর্ন্তগত আঠারো গ্রাম কাথলিক টিচার্স টিমের  আয়োজনে হাসনাবাদ ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রায়শ্চিত্তকালীন সভা নির্জন ধ্যান।

এই প্রায়শ্চিত্তকালীন সভা নির্জন ধ্যানের  মূলসুর ছিলআশার তীর্থযাত্রীঃ মন পরিবর্তনের আহ্বান এতে কাথলিক টিচার্স টিমের প্রায় ৪৬জন অংশগ্রহণ করেন।

প্রার্থনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় ক্ষুদ্রপুস্প সাধ্বী তেরেজা সেমিনারির চ্যাপেল, বান্দুরাতে। এখানেই মূলসুরের উপর সহভাগিতা করেন ফাদার আন্তনী ঝলক দেশাই ।

ফাদার আন্তনী দেশাই তার সহভাগিতায় বলেন, আমরা আশা নিয়ে প্রতিদিন বেঁচে থাকি। আর পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস যিশুর জন্মের জুবিলী বর্ষের মূলভাব হিসেবে বেঁছে নিয়েছেনআশার তীর্থযাত্রা

এরপর  ক্রুশ, মোমবাতি ব্যনার নিয়ে হাসনাবাদ ধর্মপল্লীর হলি রোজারি চার্চের দিকে তীর্থের উদ্দেশ্যে প্রায়শ্চিত্তকালীন গান করতে করতে পদ যাত্রা করা হয়।

শোভাযাত্রার পর কালভেরীতে ক্রুশ মোমবাতি রেখে প্রাথর্না করা হয়।  এরপর হাসনাবাদ গীর্জায় ক্ষমা অনুষ্ঠান, পাপস্বীকার আরাধনা অনুষ্ঠান করা হয়।

পবিএ খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার স্ট্যানিসলাউস গমেজ। তিনি তার উপদেশ বাণীতে বলেন, “আমরা প্রতিনিয়তই তীর্থযাত্রা করি। আর আশা হচ্ছে একটি ঐশ্বরিক গুণ। তেমনি ভাবে এই বছর আমরা সকলে আসার তীর্থযাত্রী।

এই প্রায়শ্চিত্তকালীন ধ্যান সভায় অংশগ্রহণকারী তাঁর মনের কথা ব্যক্ত করে বলেন, “আমি যেন আশার মানুষ হয়ে উঠতে পারি এবং অন্যের মাঝেও যেন আশা স্থাপন করতে পারি।” -  হিউবার্ট গমেজ