ঢাকা কারিতাসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পালিত হল সৃষ্টি উদযাপনকাল
গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ঢাকা কারিতাস বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিজন অব ক্রিয়েশন (সৃষ্টি উদযাপনকাল) পালন করা হয়।
এই বছরের ‘আশা করি এবং সৃষ্টির সাথে একত্রে কাজ করি’ প্রতিপাদ্য নেওয়া হয়েছে রোমীয় ৮:১৯-২৫ পদের আলোকে ‘আশার প্রথম ফসল’ প্রতীক থেকে অনুপ্রাণীত হয়ে।
অনুষ্ঠানে কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক সেবাষ্টিয়ান রোজারিও, পরিচালক-অর্থ ও প্রশাসন রিমি সুবাস দাশ, পরিচালক-কর্মসূচি দাউদ জীবন দাশ, কারিতাস লুক্সেমবার্গের প্রতিনিধি সুবাস চন্দ্র সাহাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সর্বজনীন প্রার্থনা, সৃষ্টির উদযাপনকাল বিষয়ক পুণ্যপিতা পোপ মহোদয়ের ভিডিও বার্তা প্রদর্শনী, কারিতাসের কার্যক্রমের উপস্থাপনা, বীজ বিতরণ, বক্তব্য ও ব্যক্তিগত সহভাগিতা।
কারিতাস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা সবাই যেনো প্রকৃতির সাথে আমাদের নিবিড় সম্পর্কের কথা বিভিন্নভাবে উপলব্ধী করতে পারি আর এই পৃথিবীকে আরোও বেশি ভালোবাসি।”
“মানুষ প্রকৃতি ছাড়া বাঁচতে পারে না কিন্তু প্রকৃতি মানুষ ছাড়া বাঁচতে পারবে। আজকের দিনের আহ্বান হলো: প্রকৃতির সাথে আমাদের যে নিবিড় সম্পর্ক সেটাকে যেন আমরা স্বীকার করি। তার যত্ন নিই এবং একই কাজ করতে অন্যদেরকে উদ্ভুদ্ধ করি”, বলেন নির্বাহী পরিচালক ।
তিনি আরও বলেন, “এই পৃথিবী দূষণের কারণে অসুস্থ। একে আরও অসুস্থ হতে দেওয়া যাবে না। আমাদের নিজেদের স্বার্থেই পৃথিবীকে সুস্থ করে তুলতে হবে। শুধু অফিসে নয়, পরিবারে, সমাজে সর্বত্র বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন প্রকৃতির সংরক্ষণে আাদেরকে সাশ্রয়ী হতে সাহায্য করে ও অপচয় বন্ধ হয়।”
পরিচালক-কর্মসূচি দাউদ জীবন দাশ পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিসের লাউদাতো সি সর্বজনীনপত্রের আলোকে বলেন, “পুণ্য পিতা পোপ মহোদয় জীবাশ্ময় জ্বালানি যেমন কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, এবং নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌর বিদ্যুৎ, বায়ু শক্তি, জলবিদ্যুৎ ও জৈব জ্বালানী সৎ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা যা কিছুই ব্যবহার করি, আমরা যেন প্রকৃত প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিয়ে ব্যবহার করতে শিখি।”
ড. আরোক টপ্য লাউদাতো সি সর্বজনীনপত্রের ৭টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের আলোকে কারিতাস বাংলাদেশ যেসব কাজ করছে তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “কারিতাস বাংলাদেশ প্রতিবেশগত সংরক্ষণ এবং খাদ্য নিরাপত্তা সেক্টর হতে বিগত এক বছর বিভিন্ন প্রকল্পের অংশগ্রহণকারীদের মধ্য দিয়ে ৯৮ হাজার ৪ শ ৭৫টি ফলজ, কাঠ ও ওষুধী গাছের চারা রোপণ করেছে, যা এই ধরিত্রীর জন্য সহায়ক। ভবিষ্যতের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।”
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন সঞ্জিব কুমার মন্ডল ও মেইনথিন প্রমিলা। শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন পরিচালক-অর্থ ও প্রশাসন রিমি সুবাস দাশ। - কারিতাস ইনফরমেশন ডেস্ক