মুশরইল সাধু পিতর ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব মা দিবস

গত ১১ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত মুশরইল সাধু পিতর ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো বিশ্ব মা দিবস।
এই বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে বিশ্বের সকল মায়েদের মঙ্গল কামনায় পবিএ খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। এতে ধর্মপল্লীর ফাদার, সিস্টার, সেমিনারিয়ান ও খ্রিস্টভক্তসহ প্রায় ১০০জন উপস্থিত ছিলেন।
খ্রিস্টযাগের পর ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার প্রশান্ত আইন্দ সকল মায়েদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
খ্রিস্টযাগের উপদেশে ফাদার প্রশান্ত আইন্দ বলেন, “একজন মা সংসারে বিনা পারিশ্রমিকে তার সংসারের জন্য দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। আমরা আমাদের মায়েদের প্রতি অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি কারণ তাদের ভালবাসার কারণেই আমরা এত সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারছি।”
“আমাদের হয়ে উঠতে হবে আদর্শ মা কারণ শুধু জন্মদিলেই মা হওয়া যায় না সেই মাতৃত্ব ধরে রাখতে হয় এবং সন্তানদের আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলতে হয়,” বলেন ফাদার আইন্দ।
ধর্মপল্লীর একজন মা রেজিনা বিশ্বাস বলেন, “মা ডাকটি অত্যন্ত মধুর। যখনই সন্তানের মুখে মা ডাক শুনি তখনই আমার সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।”
“আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন যেন আদর্শ মায়ের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা সুন্দরভাবে পালন করতে পারি,” বলেন রেজিনা বিশ্বাস ।
বিশ্ব মা দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবারে মা-দের ভূমিকার স্বীকৃতিদান। মা শুধু পরিবারে একজন ব্যক্তি নন, পরিবারে ২৪ ঘন্টাব্যাপী একজন দ্বাররক্ষক।
এই পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র ও মধুর শব্দের নাম ‘মা’। কেননা সন্তান ও মায়ের যে সম্পর্ক, এতো দৃঢ় আর কোনও সম্পর্ক এই পৃথিবীতে নেই।
ইতিহাস থেকে জানা যায় ডে, আন্না জার্ভিসের চেষ্টায় ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালন শুরু হয় এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে এই দিবসে স্থানীয়ভাবে ছুটিও ঘোষণা করা হয়।
ঠিক পরের বছর ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আমেরিকার প্রায় সব রাজ্যে, শহরে এবং চার্চে মা দিবস বাৎসরিক ছুটি হিসেবে পালন শুরু হয়।
পরবর্তীতে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন তার এক ঘোষণায় প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার সরকারি ছুটি হিসেবে মা দিবস পালনের বিলে সাক্ষরদান করেন। এই ভাবেই বিশ্ব মা দিবস প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে। - লর্ড রোজারিও