আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

বিশ্বজুরে পালীত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস

আজ ৩১ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিশ্বজুরে পালীত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। তামাক সেবনের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ৮০ লাখের উপর মানুষ প্রাণ হারায়, এরমধ্যে শুধু বাংলাদেশেই প্রতি বছরে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ মারা যায় তামাক ব্যবহারজনিত রোগে।

এছাড়াও পঙ্গুত্ব বরণ করে প্রায় ৪ লাখ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী চূড়ান্তকরণের কথা; তা না হলে তামাকের আরও বিস্তার জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকিতে পড়বে।

এই বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের মূলসুর হলো “আবেদন উন্মোচন: তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উপর শিল্প কৌশল উন্মোচন” । ​​এই বছর, প্রচারণাটি তামাক ও নিকোটিন শিল্পগুলি তাদের ক্ষতিকারক পণ্যগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে যে কৌশলগুলি ব্যবহার করে তা প্রকাশ করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, যারা কিশোর বয়সে ধূমপানে আসক্ত হয়, তাদের অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুণ বেশি, গাঁজায় আট গুণ এবং কোকেইনের ক্ষেত্রে ২২ গুণ বেশি।  অর্থাৎ তামাক ও নিকোটিন কেবল একটি আসক্তিই নয়এটি তরুণদের আরো অনেক বিধ্বংসী আসক্তির পথে পরিচালিত করে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে ১৩-১৫ বছর বয়সী অন্তত ৩ কোটি ৭০ লাখ কিশোর-কিশোরী নিয়মিত তামাক ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের (সিডিসি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২১ বছর বয়সের আগেই যারা তামাকে আসক্ত হয়ে পড়েছে, তাদের মধ্যে নিকোটিন নির্ভরতা এবং আমৃত্যু তামাক ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি।

এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, তামাক ব্যবহারের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং স্বাস্থ্যের উপর এর নেতিবাচক প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানো যা বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত এবং যার মধ্যে ধুমপানের পরোক্ষ ধোঁয়ার প্রভাবের কারণে প্রায় ৬,০০,০০০ অ-ধূমপায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও পাবলিক হেলথ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডা. আবু জামিল ফয়সাল বলেন, “তামাকপণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। যিনি ধূমপান করেন তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হন। সেই সঙ্গে অন্যকেও ক্ষতিগ্রস্ত করেন। সেজন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই।”

তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ধূমপান, তামাক ও ভ্যাপিং পণ্য ব্যবহারে ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। - আরভিএ