লক্ষ্মণপুর সাধু ইউজিন ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রায়শ্চিত্তকালীন আধ্যাত্মিক সেমিনার

লক্ষ্মণপুর সাধু ইউজিন ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো যুবক-যুবতীদের নিয়ে প্রায়শ্চিত্তকালীন আধ্যাত্মিক সেমিনার

গত ৪ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,  রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের অর্ন্তগত লক্ষ্মণপুর সাধু ইউজিন ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো যুবক-যুবতীদের নিয়ে প্রায়শ্চিত্তকালীন আধ্যাত্মিক সেমিনার।

এই প্রায়শ্চিত্তকালীন আধ্যাত্মিক ধ্যানসাধনার মূলসুর ছিল “মন পরিবর্তন কর; সর্বান্তকরণে পিতার কাছে ফিরে এসো”। এতে ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ৯০ জন যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করে।

এই অনুষ্ঠানে যিশুর প্রলোভন জয় এবং যিশুর নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য, শিশু ও যুবাদের জীবন সম্পর্কে সচেতনতা, জীবন গঠন, আর্থ-সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য ক্রেডিট সম্পর্কে জানা ও এর সুবিধা গ্রহণ করা বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে আলোচনা ও উপস্থাপনা করা হয়।

দিনের কর্মশালার মধ্যে ছিলো প্রার্থনা অনুষ্ঠান, পরিচয় পর্ব, প্রধান বিষয়বস্তুগুলোর ওপর সহভাগিতা, পবিত্র খ্রিস্টযাগ ও দলীয় আলোচনা।

ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার সমর দাংগ যিশু খ্রিস্টের প্রলোভন জয় ও তাঁর নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যের আলোকে সহভাগিতা করেন। তিনি বলেন, “যিশু খ্রিস্ট প্রলোভন জয় করার মাধ্যমেই নিজের “ঈশ্বর পুত্র” পরিচয়টি দৃঢ় করেন এবং তাঁর ওপর আরোপিত পিতার দায়িত্ব পালনের জন্য দৃঢ় প্রস্তুতিগ্রহণ ও নিজেকে যোগ্য করে তোলেন।”

ফাদার আরো বলেন, “ছেলে-মেয়ে, যুবক-যুবতী তোমরাই সমাজ ও মণ্ডলীর ভবিষ্যত, তাই তোমাদেরকে যিশুর আদর্শকে অনুসরণ করতে হবে এবং জীবনে ঈশ্বরের পরিকল্পনাকে আবিষ্কার করতে হবে।”

বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ভিশন, জয়পুরহাটের সিনিয়র অফিসার ডেনিস টপ্য তার সহভাগিতায় বলেন, “শিশু ও যুবারা সর্বদা নিজেদের সফলতা ও ব্যর্থতাকে মূল্যায়ন করে জীবন সম্পর্কে সচেতন হবে এবং জীবন গড়ার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। নিজেদের সক্ষমতা, জ্ঞান, দক্ষতা ও শক্তিগুলো একে অপরের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করবে ও একসাথে পথ চলবে।”

চাঁদপুকুর খ্রিস্টান সমবায় সমিতির সভাপতি জোতিন টপ্য বলেন, “যুবক-যুবতী হিসাবে আর্থিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধনের জন্য আমাদের অবশ্যই খ্রিস্টান ক্রেডিট প্রোগ্রামের বিষয়ে জানা এবং এর উপকারীতা, সুযোগ-সুবিধাগুলো গ্রহণ করা এবং এর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা প্রয়োজন। ক্রেডিট বা সমবায় সমিতি আমাদেরকে সার্বিক মুক্তি ও সুন্দর সমৃদ্ধ জীবন দিতে পারে।”

অংশগ্রহণকারী ছেলে-মেয়ে ও যুবক-যুবতীরা অনুভূতি প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতে আরো বিভিন্ন ধরণের গঠনমূলক সভা-সেমিনারের প্রত্যাশা করে। - ফাদার সমর দাংগ ও.এম.আই