কলকাতার অভিলার সাধ্বী তেরেসা গির্জায় মহিলা সমিতির উদ্যোগে পালিত হল কন্যা শিশু দিবস

গত ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, কলকাতার আভিলা সাধ্বী তেরেসা গির্জামহিলা সমিতিউদ্যোগেশিশু কন্যা দিবস উদযাপন করা হয়।

এই অনুষ্ঠান পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সমাজে নারী পুরুষের সমানাধীকার, নারী শিক্ষা ও তাদের স্বনির্ভরতা দানের মধ্যে দিয়ে সক্ষম করে তোলার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং তাদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশ গড়ে তোলার  গুরুত্ব জনসমক্ষে  তুলে ধরা

ধর্ম পল্লীর পাল পুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার জর্জ আন্তুনীর নেতৃত্বে একটি প্রার্থনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তিনি দেশের সকল শিশু কন্যাদের মঙ্গল এবং তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ঈশ্বরের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা যাচনা করে

প্রার্থনার পর, মহিলা সমিতির সদস্যরা বর্তমান সমাজে মেয়েদের যে সব সমস্যা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয় তা এবং এই বাধাগুলি অতিক্রম করার জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেই সম্পর্কে তথা শিক্ষার তাৎপর্য, শিশু কন্যাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াএবং জীবনের সকল ক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য সমান সুযোগের উপর জোর দেওয়া ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করেন

অনুষ্ঠানটিতে  কিছু সফল মহিলাদের  অনুপ্রেরণামূলক জীবন সংগ্রামের কথা তুলে ধরা হয় যারা তাদের শিক্ষা এবং ব্যক্তিগত জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য নানা বাধা অতিক্রম করেছেন এছাড়াই অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু কন্যাদের জন্য নানা রকম খেলার আয়োজনও করা হয়বিজয়িনীদের পুরস্কার প্রদান ও উপস্থিত সকল মেয়েদের একটি করে উপহার প্রদান করা হয় মহিলার সমিতির পক্ষ থেকে

অনুষ্ঠানটির পরিসমাপ্তি ঘটে সেখানে উপস্থিত সকলের এই প্রতিশ্রুতি দানের মধ্যে দিয়ে যে, তারা সকলেই এই  মহৎ উদ্দেশ্যকে সমর্থন করবেন ও সর্বদা তার জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় করণীয় বিষয়গুলি করতে তৎপর হবেন  যাতে প্রতিটি মেয়ে শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য এবং বৃদ্ধির পরিপূর্ণ সুযোগ পায় এইভাবে সাধ্বী তেরেসা মহিলা সমিতির সদস্যরা ভবিষ্যতেও  মেয়েদের উন্নতির জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনরাবৃত্তি করেন৷

মহিলা সমিতির সভাপতি, শ্রদ্ধেয় ফাদার জর্জ আন্তু যিনি অনুষ্ঠানটিকে সমর্থন করেছিলেন এবং প্রতিটি মেয়ে শিশুর জন্য দিনটিকে একটি স্মরণীয় মুহূর্ত করতে সহায়তা করেছিলেন ওনাকে ধন্যবাদ জানান সেই সঙ্গে তিনি ধন্যবাদ জানান সেই সকল ব্যক্তিকে যারা এই অনুষ্ঠানটি সফল করার উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করেছিলেন। প্রতিবেদন- ডমিনিক পাঞ্জা, অনুলিখন- গ্লোরিয়া গোমেজ