কলকাতার প্রভু যীশুর গির্জায় ধর্মপল্লীর শিশুদের জন্য উদযাপিত হল গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প

গত ৩১ শে মে থেকে ১লা জুন পর্যন্ত কলকাতার প্রভু যীশুর গির্জায় ধর্মপল্লীর সানডে ক্লাসের শিশু-কিশোরদের জন্য গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পের আয়োজন করে ধর্মপল্লীর যুব গোষ্ঠীর সদস্যরা

শিক্ষামূলক এবং বিনোদনমূলক এই সামার ক্যাম্পে ছয় বছর থেকে ষোলোর বছরের শিশুরা অংশগ্রহণ করে শিবিরের মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা, দলগত কাজ এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করা

গ্রীষ্মকালীন এই সামার ক্যাম্পের প্রথম দিনটিতে ধর্মপল্লীর যুবা দলের সভাপতি মাইকেল দত্ত অনুষ্ঠানটি আরম্ভ করেন

একটি ছোট ইন্টারেক্টিভ সেশন বা বা পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু করা হয় যেখানে প্রকৃত বন্ধুএই বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয় খুব সুন্দর ভাবে বাচ্চাদের বোঝাবার চেষ্টা করা হয় যে আমাদের জীবনে প্রকৃত বন্ধু তারাই যারা বিপদে বা অসময়ে আমাদের পাশে থাকে

এরপর অংশগ্রহণকারীদের কাছে থেকে তাদের জীবনে এমন একটি ঘটনা তুলে ধরতে বলা হয় যা তাদেরকে বুঝতে সাহায্য করেছে যে যাকে বা যাদের তারা বন্ধু বলে মনে করে তারা সত্যিই তাদের প্রকৃত বন্ধু কিনা

আলোচনার পর সকলে নিজ নিজ পরিচয় দেয় এবং একটি করে তাদের পছন্দ ও অপছন্দের বিষয়গুলিও সকলের সাথে সহযোগিতা করে এবং পরবর্তীতে তাদের একে অপরের এই পছন্দ অপছন্দগুলি বলতে বলা হয় যার ফলে তারা একে অপরকে আরও কাছে থেকে জানার সুযোগ পায়  

এই আইস ব্রেকিং সেশনের পর সামার ক্যাম্পের বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম শুরু করা হয় এরপর বিভিন্ন ধরনের খেলার আয়োজন করা হয় মধ্যাহ্ন ভোজের পর অংশগ্রহণকারীদের কিং অফ কিং চলচ্চিত্রটি দেখানো হয় এটি একটি অ্যানিমেটিভ চলচ্চিত্র যা যীশুর জন্ম থেকে পুনরুত্থান পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে

দ্বিতীয় দিনটি শুরু হয় একটি ছোট্ট পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যম যা পরিচালনা করেন যীশু সংঘ যুব কমিশনের পরিচালক মাননীয় ফাদার রাকেশ মন্ডল এসজে

তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল দলবদ্ধভাবে সম্পাদিত কর্মের গুরুত্ব ফাদার রাকেশ এরপর কিছু অ্যাকশন গানের মাধ্যমে বাচ্চাদের আনন্দ প্রদান করেন পরে ফিল দা বাকেট, ট্রেজার হান্ট এবং অন্যান্য খেলার আয়োজন করা হয়

পরবর্তী অনুষ্ঠান ছিল ট্যালেন্ট শো যাতে প্রত্যেকটি বাচ্চা তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী গান, নাচ বা অন্য কোন প্রতিভা প্রদর্শন করে এবং তাদের মধ্যে থেকে তিনজন বিজয়ীকে বেছে নেওয়া হয় এরপর অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

সমস্ত সামার ক্যাম্পের বাচ্চাদের চারটি দলে বিভক্ত করা হয় যেমন লুক, মথি, যোহন এবং মার্ক সামার ক্যামটি শেষ করা হয় পুরষ্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে।

বাচ্চাদের নানা রকমের স্টেশনারী, রং পেন্সিল, চকোলেট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি দেওয়া হয়। সবশেষে স্মৃতি স্বরূপ প্রত্যেকটি অংশগ্রহণকারীর হাতের ছাপ নেওয়া হয়

প্রতিবছরের মতো এই বছরও সামার ক্যাম্পগুলোতে শিশুরা নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করে সামার ক্যাম্প একটি শিক্ষামূলক ও অনুপ্রেরণামূলক অভিজ্ঞতা প্রভু যীশুর গির্জার যুব সম্প্রদায়ের সদস্যরা আশাবাদী যে তারা ভবিষ্যতে ধর্মপল্লীর কিশোর কিশোরীদের জন্য আরও বেশি শিক্ষনীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারবে যা, ধর্মপল্লীর কিশোর কিশোরীদের আরও বেশি সক্রিয় এবং মন্ডলীমুখী হতে সাহায্য করবে

প্রতিবেদন - জর্জিনা গোমস