ঠাকুরপুকুর সেক্রেড হার্ট গির্জাতে জুবিলি ক্রুশের আগমন

জুবিলি ২০২৫ এর গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক “জুবিলি ক্রুশ” আশার আলোকবর্তিকা হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান পরিক্রমা করছে। এই তীর্থযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ছিল ২১শে এপ্রিল ২০২৫, যখন ঠাকুরপুকুর সেক্রেড হার্ট চার্চ গভীর শ্রদ্ধা ও আনন্দের সঙ্গে গঙ্গারামপুর ধর্মপল্লী থেকে আগত জুবিলি ক্রুশকে গ্রহণ করে।
এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ছোট একটি শোভাযাত্রা সংগঠিত করা হয়, যার পরেই সেক্রেড হার্ট গির্জাতে পবিত্র খ্রীষ্টযাগ অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর জুবিলি ক্রুশটি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও চারটি সাব স্টেশন নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে এটি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও উৎসাহের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়। প্রতিটি স্থানে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে ক্রুশকে সম্মান জানানো হয়।
৩০শে এপ্রিল ২০২৫ তারিখে, পুনরায় ঠাকুরপুকুর ধর্মপল্লীতে জুবিলি ক্রুশকে ফিরিয়ে আনা হয় এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। ব্যান্ড, আরতি ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পুরো এলাকায় এক আধ্যাত্মিক আবহ তৈরি হয়। এরপর ভিকার জেনারেল ফাদার কনৌজ রায় একটি বিশেষ পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন।
ঐ দিন রাতেই এক রাতব্যাপী প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে শতাধিক ধর্মপল্লীবাসী অংশগ্রহণ করেন। এই প্রার্থনাসভা ছিল বিশেষ আশীর্বাদের আহ্বান ও তীর্থযাত্রার এক গভীর উপলক্ষ্য।
অবশেষে ৬ই মে ২০২৫ তারিখে জুবিলি ক্রুশটি কেওড়াপুকুর ধর্মপল্লীকে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনাগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়—কীভাবে এই জুবিলি ক্রুশ মানুষকে যীশুর আরও নিকটে আনায়ন করে এবং আশার তীর্থযাত্রী হিসেবে তারা ধর্মীয় স্থানগুলোতে যাত্রা করছে, প্রার্থনার মাধ্যমে খুঁজে নিচ্ছে তাদের আত্মিক পরিতৃপ্তি ও একতা।
প্রতিবেদন - শুভম মিএ