বারুইপুর পল্লী উন্নয়ন সমিতির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পূর্তি উদযাপন

গত ৩ অক্টোবর ২০২৫, বারুইপুর পল্লীউন্নয়ন সমিতির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পূর্তি উদযাপন হল। মহা সমারোহে  সমিতির কর্মকর্তা,কর্মচারী,সদস্যবৃন্দএকযোগে দিনটি সুন্দরভাবে পালনের  লক্ষ্যে মেতে ওঠে।

ওই দিনের অনুষ্ঠানকে দুটি পর্বে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে সম্মিলিত মহা খ্রীষ্টযাগ ও দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

নির্ধারিত  দিনে সকাল  ৭ টায় মহা খ্রীষ্টযাগ শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত  বহু পুরোহিত একযোগে খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ  করেন।  খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের মাননীয় বিশপ শ্যামল বোস।

খ্রীষ্টযাগের  সূচনায় দিনের তাৎপর্য পাঠ করেন ফাদার সৌমেন মালিক, পল্লীউন্নয়ন সমিতির বর্তমান পরিচালক।

উপদেশে বিশপ মহোদয় বলেন, আমরা যা কিছুই করি,ঈশ্বর সব দেখেন ও তার হিসেব  রাখেন। তাঁর কাছে কোন কিছুই  গোপন  থাকে না।"

খ্রীষ্টযাগে সুন্দর গান পরিবেশনের জন্য উপাসনার পর বিশপ মহোদয় কয়ারের সদস্যদের প্রশংসা করেন।

বিরতির পর  দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় প্রার্থনা নৃত্যের মাধ্যমে। স্বাগত ভাষণ পাঠ করেন পুস পরিচালক  ফা: সৌমেন মালিক। এরপর প্রধান অতিথিকে মাল্যদান ও অগ্নিপ্রজ্জ্বোলনে আহ্বান জানান  হয়।

৪৮ তম পুস জন্মজয়ন্তীর কেক কাটেন প্রধান অতিথি বিশপ শ্যামল বোস ।

এরপর একে একে পল্লীউন্নয়ন সমিতির  বিভিন্ন শাখার ছেলে -মেয়েরা এক বিচিত্রানুষ্ঠান পরিবেশন করে। নাচ, গান  কবিতায় মোড়া জমজমাট অনুষ্ঠান।

পল্লীউন্নয়ন সমিতির  উত্থান পতনের মোড়কে নৃত্যালেখ্য স্বপ্নের সন্ধানে আগামী দিনে অনেকের স্বপ্ন পূরণ  করবে আশা করি। বর্তমান পরিবেশগত  সামাজিক  সংকটগুলো অনুষ্ঠানের  বিষয়বস্তু হওয়ায় কিছুটা হলেও চেতনার বিকাশ  হচ্ছে বলে আমরা আশাবাদী।

প্রধান অতিথির ভাষণে সুন্দর অনুষ্ঠান পরিবেশন করার জন্য অংশ গ্রহণকারী সকলকে প্রশংসিত করেন ও সেই সঙ্গে যে সব শিক্ষক তাদের প্রস্তুত করেছেন তাদের ধন্যবাদ দেন।

এরপর পল্লীউন্নয়ন সমিতির আগামী পাঁচ বছরের কর্ম পরিকল্পনা,নিয়মাবলী বিষয়ে রূপরেখা নিয়ে গঠিত একটি পুস্তিকা মোড়ক উন্মোচন করেন  বিশপ শ্যামল ও পরে বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার কনৌজ  রায়ের হাতে তুলে দেন।

অশোক পোড়ে ও শতাব্দীর সুন্দর সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে বাড়তি মাত্রা যোগ করে।

সবশেষে শ্রী সঞ্জীব মণ্ডল পুস পরিবারের হয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সকলকে মধ্যাহ্ন ভোজনে আমন্ত্রণ জানান। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।