তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চের সামনে বিস্ফোরণ

তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চের সামনে বিস্ফোরণ

গত অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দরাজধানীর তেজগাঁওয়ে হলি রোজারি চার্চের সামনে আনুমানিক রাত সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।

বিস্ফোরণের পরপরই চার্চের সামনের অংশ আশপাশের এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

চার্চের নিরাপত্তাকর্মীদের বরাত দিয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে ককটেল নিক্ষেপ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন রাত পৌনে ১১টার দিকে বলেন, “এমন একটি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তাঁর বাসা চার্চের কাছেই। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখেন এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। এরপর তিনি চার্চের নিরাপত্তাকর্মীদের বিষয়টি জানান।

নিরাপত্তাকর্মীরা বলেন, তাঁরা দুজন ব্যক্তিকে ককটেল নিক্ষেপের পর পালিয়ে যেতে দেখেছেন। তবে সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকা ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে।

তেজগাঁও হলি রোজারি চার্চের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

রেডিও ভেরিতাস এশিয়া বাংলা বিভাগের ফেসবুক কমেন্ট এ নিপুন গমেজ লিখেন, “এই ঘটনাটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং নিন্দনীয়। ধর্মীয় স্থানের সামনে এই ধরনের হামলা শুধু একটি সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে নয়, বরং সমগ্র সমাজের শান্তি সম্প্রীতির জন্য হুমকিস্বরূপ।

তিনি আরো লিখেন, “বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করে। এমন ঘটনা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা বলে মনে হয়।

সৌভাগ্যবশত এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, এটি আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই নয়, সমাজের সকল স্তরের মানুষকেও সচেতন হতে হবে,” লিখেন গমেজ।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা এবং সহিংসতা কোনো সমাজেরই কাম্য হতে পারে না। বাংলাদেশের বহুধর্মী বহুসংস্কৃতির সমাজব্যবস্থাকে রক্ষা করতে আমাদের সকলকে একসাথে দাঁড়াতে হবে। - আরভিএ সংবাদ