বাংলাদেশের এগার জেলায় প্রায় ৪৮ লাখ মানুষ বন্যায় প্লাবিত এবং ১৫ জনের মৃত্যু
গত ২৩ আগস্ট ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে গত তিনদিনে বেশ কয়েকটি জেলা বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় সারাদেশে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বৃষ্টির পানির প্রভাবে দেশের ১১ জেলায় প্রায় ৪৮ লাখ মানুষ বন্যায় প্লাবিত।
গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা এগারো।
এতে বলা হয়, বন্যাপ্লাবিত ১১ জেলার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ফেনীর। তবে সব জায়গায় ত্রাণ পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ফেনীর বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এমন বন্যা তাদের জীবনে আগে কখনো দেখেননি। যেভাবে ক্রমাগত পানি বাড়ছে পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কতটা ভয়াবহ রুপধারণ করে তা নিয়ে চরম আতঙ্কে আছেন তারা।
ইতিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। পুকুরের মাছ, গবাদিপশু, ঘরের আসবাবপত্র কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই। ক্ষেতের ফসল সব নষ্ট হয়ে গেছে। যে ক্ষতি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠা প্রায় অসম্ভব।
মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তথ্য বিবরণী অনুযায়ী, পানিবন্দি বা ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে মোট ২ হাজার ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোয় মোট ৮২ হাজার ৬৯৪ জন লোক এবং ৭ হাজার ৭৫৫টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ১০ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ৪৯২টি মেডিক্যাল টিম চালু রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৩ কোটি ৩২ লাখ নগদ টাকা, ১৯ হাজার ৬৫০ টন চাল এবং ১৫ হাজার বস্তা বা প্যাকেট শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। - তথ্য সংগৃহীত