মট্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো লিঙ্গসমতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মসূচি’র উপর প্যানেল আলোচনা সভা
গত ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সেইফগার্ডিং কমিটির উদ্যোগে মট্স প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো ১৬দিনব্যাপী লিঙ্গসমতা ও সহিংসতা প্রতিরোধ কর্মসূচি’র উপর প্যানেল আলোচনা সভা।
এই জেন্ডারভিত্তিক সংহিসতা বিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য হলো নারী, শিশু ও যেকোনো জেন্ডারের প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা, সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, মানবাধিকার রক্ষা করা এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে একসাথে যুক্ত করা।
এই আলোচনায় সহিংসতা প্রতিরোধ, নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের নানামুখী দিক তুলে ধরা হয়। প্যানেল আলোচনায় চারজন প্যানেলিস্ট উপস্থিত ছিলেন।
তারা হলেন মিজ্ নুসরাত জাহান মুক্তা, পুলিশ সুপাার, ৫ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান, ঢাকা, এডভোকেট রেবেকা সিংহ, ড. সিস্টার লিপি গ্লোরিয়া রোজারিও এবং মট্স পরিচালক মি. জেমস্ গোমেজ।
জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা ও সাইবার হয়রানির বর্তমান অবস্থা এবং পুলিশ কীভাবে দ্রুত ও কার্যকরভাবে সহায়তা প্রদান করছে এ বিষয়ে আলোচনা করেন মিজ্ নুসরাত জাহান মুক্তা।
সেইসাথে তিনি সহিংসতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা, সাইবার ক্রাইম, উইমেন সাপোর্ট ডেস্ক ও দ্রুত আইনগত সহায়তা পাওয়ার উপায় তুলে ধরেন।
প্যানেলিস্ট এডভোকেট রেবেকা সিংহ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। তিনি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত আইন এবং ভুক্তভোগীদের আইনগত সহায়তার পথ ও আইনী সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আলোচনা করেন।
অন্যদিকে ড. সিস্টার লিপি গ্লোরিয়া রোজারিও, ডিরেক্টর, হিলিং হার্ট কাউন্সিলিং সেন্টার এবং খন্ডকালীন ফ্যাকাল্টি, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন এন্ড কাউন্সিলিং সাইকোলজি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, তিনি সহিংসতার মানসিক প্রভাব, ট্রমা পরবর্তী সহায়তার কৌশল এবং পরিবার ও সমাজের করণীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোচনা করেন।
মট্স পরিচালক মি. জেমস্ গোমেজ বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহিংসতা নিরোধী নিরাপদ পরিবেশ গঠনে ভূমিকা, প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন।”
এছাড়াও প্রশ্ন উত্তর পর্বের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত প্যানেলিস্টদের কাছ থেকে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে আরও বেশি ধারণা লাভ করেছে।
হয়রানি, সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং নিরাপদ সমাজ গঠনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আলোচনা অনুষ্ঠানে রিচুয়াল কমিটমেন্ট হিসেবে অংশগ্রহণকারী সকলে কমলা রঙের রিবন হাতে নিয়ে অঙ্গীকার পাঠ করেন।
কমলা রঙ কে সহিংসতামুক্ত ভবিষ্যতের আশা, শক্তি এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। উক্ত প্যানেল আলোচনায় মট্স এর সকল বিভাগের কর্মী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। - সুমি ক্লডিয়া রোজারিও