বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পূর্বে উপযুক্ত সঙ্গী নির্বাচন ও বিবাহ পরবর্তী জীবনে বিশ্বস্থতার সহিত জীবন-যাপন করা ও আর্দশ পরিবার গড়ে তোলার জন্য এই কোর্স বিশেষ প্রয়োজন।
যারা হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহণ করবে আজ থেকে তোমরা হয়ে উঠবে পরিপূর্ণ খ্রিস্টান এবং একই সাথে তোমরা পবিত্র আত্মাকে লাভ করে তোমরা হয়ে উঠবে বলশালী। তোমাদের উচিত পবিত্র আত্মার প্রেরণায় পথ চলা ও সেই ভাবে জীবন-যাপন করা।
ওয়াইসিএস হলো ধর্মপল্লীর প্রাণ। আমরা নিজেরা প্রাণবন্ত থেকে নিজেদের ধর্মপল্লীকে প্রাণবন্ত করবো। আমরা যেন আমাদের হৃদয়ে যীশুকে স্থান দেই এবং আমাদের হৃদয়ের সকল কথা, সকল ব্যাথা ও আনন্দ যীশুর সাথে সহভাগিতা করি।
ঈশ্বরের পরিকল্পনা সত্যিই অসাধারণ। তিনি এই সিস্টারগণকে অত্র এলাকার মানুষের ধর্মীয় ও নৈতিক গঠন দানের জন্য প্রেরণ করেছেন। আমরা প্রত্যেকে যেন তাদের সাথে সহযোগিতা করি।
উপাসনা হলো মণ্ডলীর পবিত্র রহস্য, একক ও দলীয় অর্থাৎ ঐশ জনগণের প্রার্থনা সভায় সক্রিয় অংশগ্রহণ হলো সত্য খ্রীষ্টিয় আত্মার সর্বোত্তম ও অপরিহার্য করুণা ধারা।
দয়া করে আমাদের ধর্মপল্লীগুলোর স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের, ডিসপেন্সারী তহবিল, ক্রেডিট ইউনিয়ন ও খ্রিস্টভক্তদের ব্যক্তিগত অনুদান সংগ্রহ করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াই।
আমরা ঈশ্বরের জন্য কাজ করি বলে আমাদের জীবনে অনেক সময় নির্যাতন ও তিরস্কার আসতে পারে। তবে তা নিয়ে যেন আমরা ভয় না করি বরং আমরা যেন সর্বদা ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চেষ্টা করি।
সংঘবদ্ধ জীবনের প্রেরণা হলো আদিমণ্ডলির খ্রিস্টভক্তদের সংঘবদ্ধ জীবন, একমন-একপ্রাণ-একচিত্ত-মিলেমিশে জীবন যাপন করাই হলো সংঘবদ্ধ জীবন। একে অপরের প্রতি যত্নশীল হওয়াই হলো সংঘবদ্ধ জীবন।
সাধু আন্তনীর কাছে আমরা হারানো দ্রব্য ফিরে পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করি। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমাদের উচিত ঈশ্বরের সাথে হারিয়ে যাওয়া সম্পর্ক ও বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য সাধু আন্তনীর মধ্যস্থতায় প্রার্থনা করবো।
তোমরা হলে মণ্ডলির ভবিষ্যত। তাই মণ্ডলি সবসময় তোমাদের কথা চিন্তা করে। যিশুখ্রিস্ট আমাদের জন্য জীবন দিয়েছেন আবার পুনরুত্থানও করেছেন। সেই পুনরুত্থিত খ্রিস্টের আনন্দ নিয়ে আমাদের পথ চলা উচিত। তোমরা যে কয়েকদিন এখানে থাকবে এবং যা কিছু শিখবে তা মন দিয়ে আয়ত্ত্ব করবে।
যিশুর আহ্বানে সাড়াদানের জন্য দরকার যিশুর সাথে মিলিত হওয়া- প্রার্থনায়, দয়ার কাজে ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে। ছোট বয়স থেকে অন্তরে যিশুর আহ্বান উপলদ্ধি করে সেইভাবে জীবন-যাপন করা।
জপমালা প্রার্থনার করার মাধ্যমে সকলে মা মারিয়ার আশীর্বাদ লাভ করে। তাই প্রত্যেক পিতামাতাকে প্রার্থনাশীল ও আদর্শবান হওয়ার আহ্বান জানান, যেন তারা তাদের সন্তানদেরকে খ্রিস্টীয় আদর্শে লালন-পালন করতে পারেন।
মা মারিয়া আমাদের অনেকভাবে সহায়তা দিয়ে থাকেন রক্ষা করেন সেইজন্য মা মারিয়ার প্রতি আমাদের ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি। মায়ের মধ্যদিয়ে আমাদের ধর্মপল্লী তথা বিশ্বমণ্ডলির শান্তি বিরাজ করুক সেই প্রার্থনা করি আজকের এই পর্ব দিনে। সকলে ভাল থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।