রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের কাথিড্রাল ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল পোপ ফ্রান্সিসের স্মরণে স্মারণিক খ্রিস্টযাগ

গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের কাথিড্রাল ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হলো পোপ ফ্রান্সিসের স্মরণে স্মারণিক খ্রিস্টযাগ।
পোপের আত্মার কল্যাণ কামনায় স্মারণিক খ্রিস্টযাগে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ধর্মপাল বিশপ জের্ভাস রোজারিও, অন্যান্য যাজক, ব্রতধারী ও ব্রতধারিণী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক খ্রিস্টভক্ত উপস্থিত ছিলেন।
খ্রিস্টযাগের শেষে ধর্মপল্লীর কয়েকজন খ্রিস্টভক্ত পোপ ফ্রান্সিসের জীবনালোকে স্মৃতিচারণ করেন।
খ্রিস্টযাগের উপদেশ বাণীতে বিশপ জের্ভাস রোজারিও বলেন, “পোপ ফ্রান্সিসের জীবন ছিল দারিদ্রতায় পূর্ণ; যা তিনি মৃত্যুর পরেও প্রমাণ করে গিয়েছেন। শুধু কথাই বলেননি, তাঁর জীবনাদর্শ দ্বারা দেখিয়েছেন যে তিনি একজন নিখাঁদ ভালো মানুষ ও একজন সাধু ব্যক্তি ছিলেন।”
“তিনি কাথলিক মণ্ডলীর বিশপ ও যাজকদের পরামর্শ দিয়েছেন নম্র হতে। জনগণের সঙ্গে একাত্ম হয়ে একটি শক্তিশালী, মিলনধর্মী ও টেকসই মণ্ডলী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পোপ ফ্রান্সিস জোর দিয়েছেন”, বলেন বিশপ রোজারিও ।
কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, “আমি পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় পুণ্যপিতার লাউদাতে সি পত্রটি অনেকবার পড়েছি এবং এটি আমার জন্য অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন প্রকৃতিপ্রেমী তাই তিনি সকলকে অনুরোধ করেছিলেন ধরিত্রীর যত্ন নিতে।”
ধর্মপল্লীর খ্রিস্টভক্ত শেলী বিশ্বাস বলেন, “পুণ্যপিতা পোপের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। তিনি তার জীবনদশায় অসাধারণ সেবাকাজ করে গেছেন যার ফলে তিনি আজ সবার কাছেই জনপ্রিয়। আমরা প্রার্থনা করি পোপ ফ্রান্সিস যেন খুব শীঘ্রই সাধু হিসেবে ঘোষিত হন।”
পরিশেষে বাংলাদেশে সফরকালীন সময়ে পোপ ফ্রান্সিসের রিক্সাবহণকারী ফাদার সাগর কোড়াইয়া বলেন, “পোপ মহোদয় যখন বাংলাদেশে এসেছিলেন তখন আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাকে রিক্সায় করে ঘুরানোর। সেইসময় পুণ্যপিতা আমাকে একটি রোজারিমালা দিয়েছিলেন যা এখনো আমার নিকট রয়েছে। আর সেই স্মৃতিগুলো আমার প্রতি পোপ ফ্রান্সিসের আশির্বাদ”। - লর্ড ডানিয়েল রোজারি