বিশ্ব সামাজিক যোগাযোগ দিবসে পোপের বার্তা: “আশা ও ঐক্যকে বাড়িয়ে তুলতে সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজন”

৫৯তম বিশ্ব সামাজিক যোগাযোগ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত পোপের বার্তায়, তিনি উল্লেখ করেন যে, "আজ প্রায়ই, যোগাযোগ আমাদের কাছে আশার বার্তা বয়ে নিয়ে আসে না বরং ভয়, হতাশা, কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা ও ঘৃণার জন্ম দেয়।"

পুণ্য পিতা পোপ ফ্রান্সিস সকলকে সতর্ক করেন যে এই ধরনের অনুশীলনগুলি আমাদের মধ্যে বিভাজনের জন্ম দেয় এবং প্রকৃত আশা তৈরির সম্ভাবনাতে বাঁধা সৃষ্টি করে।

তিনি আরও বলেন যে, আমাদের এই মানসিকতার কাছে আত্মসমর্পণ করা কখনই উচিত নয়।”

আক্রমনাত্মক যোগাযোগ ব্যবস্থার কুফল

পোপ ফ্রান্সিস আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যাজনক দিকগুলি তুলে ধরেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পরস্পরের মধ্যে প্রতিযোগিতা এবং আধিপত্যের প্রবণতা যা আজ অনেক ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান

তিনি বলেন বিভিন্ন ধরনের টেলিভিশন টক শো থেকে শুরু করে সামাজিক গণমাধ্যমগুলিতে মৌখিক আক্রমণ, প্রতিযোগিতা, বিরোধিতা, আধিপত্য ও ক্ষমতায়নের ইচ্ছা আমাদের সমাজকে যেমন একদিকে ক্ষয় করে অন্যদিকে জনহিতকর কাজের প্রতিপন্থীও হয়ে ওঠে

তিনি বলেন এই বিষয়গুলি সামাজিক বন্ধনকে দুর্বল করে এবং আমাদের একে অপরের কথা শোনার এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠতে বাধা দেয়।

আশাই হলো একমাত্র প্রতিষেধক

মঙ্গল সমাচার  এবং বর্তমান জুবিলী বছরের কথা উল্লেখ করে পুণ্যপিতা বলেন, আমাদের আশাবাদী হয়ে উঠতে হবে  যদিও এই কাজটি খুব সহজ নয় তবে, আমাদের অবশ্যই এই ধরনের ঝুঁকি নেওয়া উচিত।"

এইভাবে, পোপ ফ্রান্সিস খ্রিষ্টীয় গণসংযোগকারী সংস্থাগুলিকে অনুরোধ করেন যে তাদের মধ্যে যে আশা রয়েছে সেই আশাকে জাগিয়ে রাখতে যাতে তারা মৃদুতা ও গভীর সম্মানবোধের সাথে প্রত্যেকটি প্রতিকূল মুহূর্তে প্রস্তুত থাকতে পারে (পিতর ৩:১৫-১৬)

তিনি আরও বলেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিনয়, ঘনিষ্ঠতা ও সম্মান প্রদান করার মধ্যে দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে মূর্ত করে তোলা সম্ভব হয় আত্মরক্ষা এবং ক্রোধের পরিবর্তে একে অপরের সাথে খোলামেলা আলোচনা পারস্পরিক ভাতৃত্ববোধকে জাগ্রত করে