বারুইপুর পল্লীউন্নয়ন সমিতির বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস সাড়ম্বরে উদযাপন
৩ ডিসেম্বর ২০২৫,বারুইপুর পল্লীউন্নয়ন সমিতির বিশ্ব প্রতিবন্ধীদিবস মহা সমারোহে উদযাপিত হল। ওই দিন চেতনা ডিসএবিলিটি ক্যাম্পেন শিরোনামে একটি বর্ণময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল পুস মুক্তাঙ্গনে।
প্রায় ১৭৮ জন শারীরিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন, অক্ষমতার শিকার এমন শিশুদের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন। প্রত্যেক শিশুর সঙ্গে একজন অভিভাবকেও আমন্ত্রণ জানান হয়েছিল।
অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল সকাল প্রায় ১০ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর ধর্মপ্রদেশের মাননীয় বিশপ শ্যামল বোস, প্রধান অতিথি শ্রী বেনু গোপাল ঘোষ,গৃহ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সহকারি পরিচালক, কারিতাস ইন্ডিয়ার শ্রী বাবলু সরকার, এফ এ ডি বি - শ্রী বিপ্লব চক্রবর্তী,
পল্লীউন্নয়নের প্রাক্তন পরিচালক ফাদার প্রদীপরয়,ফ: অলক কাজি,ফ: সুসাই ,হোলি ক্রশ স্কুলের প্রিন্সিপাল ও সুপীরীয়র মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রতিনিধি সিস্টার ,ফাদার অঙ্কিত, ফ : রাজেন,ফ: দীপক ছাড়াও কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
পুস পরিবারের সদস্যবৃন্দ অতিথিদের ব্যাজ পরিয়ে ও একটি করে গাছ,উপহার সামগ্রী দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
প্রথমেই প্রার্থনা নৃত্য 'দেখো আলোয় আলোয় 'দিয়েও অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পুস পরিবারের সদস্যবৃন্দ। এরপরই পবিত্র প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনে অংশ নেন অতিথি ও পুস কাঠামোর প্রতিনিধিবৃন্দ।
উদ্বোধনী বার্তা পাঠান করেন পল্লীউন্নয়ন সমিতির বর্তমান পরিচালক ফাদার সৌমেন মালিক।
পরে পরেই শুরু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নাচ,গান, আবৃত্তি ও জিমন্যাস্টিক পরিবেশন যা খুবই সুন্দর। একটু সাহায্য ও ভালবাসা পেলে সব বাধা অতিক্রম করতে তারা প্রস্তুত, এটাই যেন তারা বলতে চাইছিল।
পুস পরিবার কিভাবে তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সে বিষয়ে এই চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও মায়েরা অকপটে সাক্ষ্য দিচ্ছিল যা তাদের জীবনে আশার আলো এনে দিয়েছে।
এরপর বিউটিশিয়ান ও টেলারিঙের মেয়েরা সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানের মাঝে বিভিন্ন বক্তা বক্তব্য রাখেন ও চাহিদা অনুসারে প্রতিবন্ধীদের হাতে হুইল চেয়ার ,বল তুলে দেওয়া হয়।
নির্মাণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকল শিশুর হাতে কম্বল ও ফুড প্যাকেট তুলে দেন
সব শেষে মাননীয় বিশপ বোস তাঁর বার্তায় পল্লীউন্নয়নের ইতিহাসের কিছু কথা স্মরণ করান। তিল তিল করে পুসের তিলোত্তমা হয়ে ওঠার নানা প্রচেষ্টার কথা বলেন।একই সঙ্গে শিশুদের সুন্দর অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন।
শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শ্রী সঞ্জীব মণ্ডল। তারপর সকলে মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশ নেয়। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।