ফাদার পি.সি. ম্যাথিউর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন

ফাদার পি.সি. ম্যাথিউর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রাঘবপুর সেন্ট পলস্ হাই স্কুলে। 

গত ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে, ফাদার পি.সি ম্যাথিউর স্মৃতির উদ্দেশ্যে রাঘবপুর সেন্ট পলস্ হাই স্কুলে একটি স্মরণ সভার আয়োজন করা হয় সকাল ১০:৩০ ঘটিকায়। 


উক্ত এই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ড. সাধনা করালী, উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের প্রিফেক্ট ফাদার ই.এস. যোসেফ এস. জে, মাধ্যমিক বিভাগের প্রিফেক্ট ব্রাদার ছোট্টু হেমব্রম এস.জে, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বারোশো ছাত্রছাত্রী।

 
এরপর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন মাধ্যমিক বিভাগের প্রিফেক্ট ব্রাদার ছোট্টু হেমব্রম এস.জে। 
বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মীবৃন্দ এবং ছাত্র-ছাত্রীরা ফাদারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন ক’রে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ছাত্রছাত্রীরা প্রার্থনা সংগীত পরিবেশন করে।  শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মিলিত প্রয়াসে ফাদারের আত্মার চির শান্তির জন্য প্রার্থনা নিবেদিত হয়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ড. সাধনা করালী  পি.সি. ম্যাথিউ সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন – “ফাদার পি.সি. ম্যাথিউ যখন প্রভিন্সিয়াল  ছিলেন অর্থাৎ ১৯৮৭ - ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ, এই সময়ে তিনি রাঘবপুর এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন স্কুল বিল্ডিংটি নির্মাণ করে দেন। স্বর্গীয় ফাদার অনিল মিত্র ছিলেন সেই সময় রাঘবপুর সেন্ট পলস্ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফাদার মিত্রকে তিনি সর্বতভাবে সাহায্য করেন।  স্কুলটিকে মাধ্যমিক পর্যন্ত এবং ১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে উচ্চমাধ্যমিক বিভাগ শুরু করার জন্য সরকারি অনুমোদনের জন্য স্বর্গীয় মাদার তেরেজার মধ্যস্থতায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় জ্যোতি বসু এবং শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন লাভ করেন। ফাদার পি.সি.ম্যাথিউ আমাদের মধ্যে স্বশরীরে না থাকলেও তাঁর কাজ, তাঁর অবর্ণনীয় অবদান বর্তমান প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্মের মধ্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।"


উল্লেখ্য ফাদার পি.সি. ম্যাথিউ এস.জে. জন্মগ্রহণ করেন ১৯ এপ্রিল  ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে কেরালার পিরাভামে, ১৯৫৭ সাল থেকে তিনি কলকাতায় আসেন। পুরোহিত পদে অভিষিক্ত হন -১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর ৮৪ বছরের জীবনে অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন মানুষের মধ্যে, স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের আলোর দিশা দেখিয়েছেন, গরিব আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেও শিক্ষার বীজ বপন করেছেন।  যারা অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছিল তাদের আলোর পথগামী করে তুলেছেন। তাঁর মৃত্যুতে ‘যীশু সঙ্ঘে’র ফাদাররা এবং তাঁর স্নেহধন্য মানুষেরা গভীরভাবে শোকাহত। -কৌশিক হাজরা, (শিক্ষক, রাঘবপুর সেন্ট পলস্ হাইস্কুল)