কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের রানাঘাট ধর্মপল্লীতে পবিত্র অভ্যঞ্জন তৈলের আশীর্বাদ ও পৌরহিত্য দিবস উদযাপন

কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের রানাঘাট ধর্মপল্লীতে পবিত্র অভ্যঞ্জন তৈলের আশীর্বাদ ও পৌরহিত্য দিবস উদযাপন

বিগত ১৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ, কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের অন্তর্গত           রানাঘাট ধর্মপল্লীতে পবিত্রতা, একতা ও পৌরহিত্য সেবার গভীর বার্তা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো পবিত্র অভ্যঞ্জন তৈলের(Holy Chrism Oil) আশীর্বাদ এবং পৌরহিত্য দিবস।

এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগর ধর্মপ্রদেশের বিশপ নির্মল ভিনসেন্ট গোমস্, যাঁর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

এই দিবসটি খ্রীষ্টীয় লিটার্জিক্যাল বর্ষের অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ আয়োজন, যেখানে সমগ্র ধর্মপ্রদেশের পুরোহিতেরা একত্রিত হয়ে তাঁদের সেবা কাজে নতুন করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।

বিশপ নি.ভি. গোমস্ অনুষ্ঠানে বলেন, “পবিত্র অভ্যঞ্জন তেল খ্রীষ্টীয় জীবনের একটি অন্যতম পবিত্র সামগ্রী। এই তৈলগুলি মন্ডলীর সাতটি সংস্কারের মধ্যে বিশেষত বাপ্তিস্ম সংস্কার, পবিত্র সমারোহ, পুরোহিত অভিষেক ও অসুস্থদের লেপনে ব্যবহৃত হয়। আজকের আশীর্বাদ আমাদের সম্প্রদায়ের ঐক্য আরও দৃঢ় করেছে এবং পৌরহিত্য দিবসের অধিবেশনে আমরা সেবার মধ্যে ঈশ্বরীয় দায়িত্ব উপলব্ধি করেছি।"

তিনি আরও বলেন "পৌরহিত্য শুধুই একটি পেশা নয়, এটি একটি ঈশ্বরপ্রদত্ত ডাকে সাড়া দেওয়ার ফল। এই দায়িত্ব আমাদের নৈতিকতা, নিঃস্বার্থতা এবং আত্মত্যাগের পথ অনুসরণ করতে শেখায়।"

এই অনুষ্ঠানের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল সমস্ত পুরোহিতদের তাঁদের পৌরহিত্য প্রতিশ্রুতি পুনর্নবীকরণ, যেখানে তাঁরা আবারও তাঁদের বিশ্বাস, সেবা ও খ্রীষ্টমুখী জীবনের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেন। এটি শুধুমাত্র পুরোহিতদের মধ্যে নয়, সাধারণ বিশ্বাসীদের মাঝেও একটি গভীর আধ্যাত্মিক আলোড়ন সৃষ্টি করে।

প্রায় হাজারেরও বেশি খ্রীষ্টভক্ত এই পবিত্র দিনে অংশগ্রহণ করে ঈশ্বরের করুণায় পরিপূর্ণ হয়। এই অনুষ্ঠান স্মরণ করিয়ে দেয় যে, খ্রীষ্টীয় জীবন কেবলমাত্র আচার-অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আত্মদান, ভালোবাসা ও সেবার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরের মহিমা প্রকাশ করার এক মহান আহ্বান।

 

প্রতিবেদন - সৈকত মন্ডল

মালিয়াপোতা ধর্মপল্লী