ভাওয়াল আঞ্চলিক পালকীয় পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল যিশুর জন্ম জুবিলী বর্ষের শুভ উদ্বোধন

ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অর্ন্তগত ভাওয়াল আঞ্চলিক পালকীয় পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো যিশুর জন্ম জুবিলী বর্ষের শুভ উদ্বোধন

গত ২৫ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অর্ন্তগত ভাওয়াল আঞ্চলিক পালকীয় পরিষদের উদ্যোগে নাগরী ধর্মপল্লীর পানজোড়া তীর্থস্থানে অনুষ্ঠিত হলো যিশুর জন্ম জুবিলী বর্ষের শুভ উদ্বোধন।

যিশুর জন্ম জুবিলী বর্ষের মূলসুর ছিল, “আশার তীর্থযাত্রী”। এতে ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অর্ন্তগত ভাওয়াল এলাকার ধর্মপল্লী গুলো থেকে আগত ১জন বিশপ,  ১৪জন ফাদার, ৩০জন সিস্টার, ব্রাদার এবং বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ১৪৭০জন খ্রিস্টভক্তের উপস্থিতিতে এ জুবিলী বর্ষ উদ্বোধন করা হয়।

এ অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিলো আনন্দ শোভাযাত্রা । এই আনন্দ শোভাযাত্রাটি পানজোড়া স্কুলের সামনে থেকে শুরু করে বেদী মঞ্চে এসে সমাপ্ত হয়।

গির্জা ঘরের পবিত্র প্রবেশ দ্বার খোলা, কবুতর ওড়ানো এবং জুবলি বর্ষের লোগো উন্মোচন করার মধ্য দিয়ে জুবিলী বর্ষের শুভ উদ্বোধন করেন বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ।

জুবিলীর আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকাীগণ

বিশপ সুব্রত বনিফাস গমেজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমরা আশা নিয়ে প্রতিদিন বেঁচে থাকি। আর পুণ্যপিতা পোপ ফ্রান্সিস যিশুর জন্মের জুবিলী বর্ষের মূলভাব হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন “আশার তীর্থযাত্রা”।

“আজকে আমরা পোপ মহোদয়ের সাথে একাত্ব হয়ে যিশুর জন্মের জুবিলী বর্ষের শুভ উদ্বোধন করছি”, বলেন বিশপ গমেজ। 

ফাদার প্রলয় আগষ্টিন ক্রুশ মূলভাবের উপর সহভাগিতায় বলেন, “আমরা প্রতিনিয়তই তীর্থযাত্রা করি। আর আশা হচ্ছে একটি ঐশ্বরিক গুণ। তেমনি ভাবে এই বছর আমরা সকলে আসার তীর্থযাত্রী।”

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী একজন খ্রিস্টভক্ত বলেন, “আমি যেন আশার মানুষ হয়ে উঠতে পারি এবং অন্যের মাঝেও যেন আশা স্থাপন করতে পারি। এই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের জুবিলী আমাকে মিলন,  একতা,  ভালবাসা ও বিশ্বাসে বেড়ে ওঠার আহ্বান জানায়।”

এ জুবিলী বর্ষের শুভ উদ্বোধনী আধ্যাত্নিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল পবিত্র আরাধনা, পাপস্বীকার অনুষ্ঠান এবং পবিত্র খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ । - পাঞ্জল টমাস রোজারিও