তীর্থযাত্রার অনুষ্ঠানে এশিয়ার খ্রিস্টানদের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং গল্পকার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পেনাং কার্ডিনাল

আরভিএ দ্বারা | ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

কার্ডিনাল সেবাস্তিয়ান ফ্রান্সিস ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে পেনাং-এ গ্রেট পিলগ্রিমেজ অফ হোপে আয়োজিত সম্মিলিত  মহা খ্রীষ্টযাগ  উদযাপনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

২৭শে নভেম্বর পেনাং-এর বিশপ , কার্ডিনাল  সেবাস্তিয়ান ফ্রান্সিসের সভাপতিত্বে অত্যন্ত মর্মস্পর্শী পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উদযাপনের মাধ্যমে আজ পেনাং-এ আশার মহান তীর্থযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।

৩২টি দেশের শত শত প্রতিনিধিদের সামনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে, কার্ডিনাল ফ্রান্সিস এশিয়ার খ্রীষ্টমণ্ডলীকে"গল্পকার, স্বপ্নদ্রষ্টা এবং দূরদর্শী" হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেনন।

 সমাবেশের প্রতিপাদ্য বিষয়, "এশিয়ার জনগণ হিসেবে একসাথে যাত্রা... এবং তারা ভিন্ন পথে চলে গেল।"

২০০৬ সালে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত কংগ্রেস থেকে রূপরেখা অঙ্কন করে কার্ডিনাল ফ্রান্সিস বলেন, খ্রীষ্টমণ্ডলীকে আবারও "এশিয়া এবং তার বাইরেও বলা সর্বশ্রেষ্ঠ , যীশু খ্রীষ্টের গল্প" মূল্যবান বলে স্বীকার করার এবং ধারণ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে, তবে সর্বদা পবিত্র আত্মার সাথে তার গ্রহণ করার কথা তিনি বলেন।

তিনি জোর দিয়ে বলেন যে যোহন ১৪:২৬ পদে যীশুর প্রতিজ্ঞা আজও জীবিত: "সেই  বিচা রক, পবিত্র আত্মা, তোমাদের সকলকে শিক্ষা দেবেন এবং আমি তোমাদের যা যা বলেছি, সেসব তোমাদের স্মরণ করিয়ে দেবেন।"

তিনি বিশ্বাসীদের মনে করিয়ে দেন যে পবিত্র আত্মা "ছোট-বড় সকলকেই দর্শন  দেন ও স্বপ্ন দেখান ", খ্রীষ্টমণ্ডলীকে ঐক্য ও সেবার উপর ভিত্তি করে একটি নতুন ভবিষ্যৎ কল্পনা করার আহ্বান জানান।

কার্ডিনাল ফ্রান্সিস সংস্কৃতির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, "প্রতিনিধিদের স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে ক্যাথলিক ধর্ম বিশ্বাসকে বাঁচিয়ে রাখার এবং প্রকাশ করার উপায়গুলি অন্বেষণ করতে হবে।

তিনি ভিয়েতনাম, কোরিয়া, ভারত এবং কম্বোডিয়া ইত্যাদি অঞ্চলের এশীয় সাধু ও শহীদদের উত্তরাধিকারকেও সম্মান জানান... যারা সুসমাচারকে নতুন দিগন্তে নিয়ে  গিয়েছেন তাদেরকে 'স্বপ্নদর্শী 'হিসেবে বর্ণনা করেন।

ক্যাথলিক খ্রীষ্টমণ্ডলী যখন ২০২৫,আশার জয়ন্তী বর্ষ, বিশ্ব যুব দিবস ২০২৭ এবং সিনোডালিটির সিনডের সমাপ্তি পর্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন কার্ডিনাল ফ্রান্সিস সমস্ত ক্যাথলিকদের পবিত্র আত্মার নির্দেশনায় আস্থা রাখতে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন শাস্ত্রীয় প্রার্থনাটি  মাধ্যমে "মারানাথ! এসো, প্রভু যীশু।" আরভিএ ইংরেজি ওয়েবসাইট থেকে অনুলিখনে চন্দনা রোজারিও।