গত ১৮ জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী ধর্মপ্রদেশীয় যুব কমিশনের আয়োজনে ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীতে সারাদিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ওয়াইসিএস’র সেমিনার।
এতে ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় ২০০জন যুবক-যুবতী ও এনিমেটরগণ অংশগ্রহণ করেন।
উক্ত ওয়াইসিএস সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডী, যুব- সমন্বয়কারী ফাদার শ্যামল জেমস গমেজ, কারিতাস রাজশাহী অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য, ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার লুক লোটাস চিসিম এবং অন্যান্য ফাদার ও সিস্টারগণ।
ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীর পালপুরোহিত তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, “তোমরা যুবক-যুবতীরা আগামী দিনের ভবিষ্যত তাই আমি তোমাদের আজকের এই দিনে ওয়াইসিএস সেমিনারে অংশগ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। আজকের সেমিনার সুন্দর ও সার্থক হোক এই কামনা করি।”
এই সেমিনারে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ফাদার শ্যামল গমেজ। তিনি তার উপদেশ বানীতে বলেন, “আজকের মঙ্গলসমাচারে আমরা শুনতে পাই ফরিসিরা শিষ্যদের নামে যীশুর কাছে অভিযোগ করছেন বিশ্রামবারে বিধি লঙ্ঘন করার জন্য। কিন্তু যীশুর উত্তর ছিল মানবপুত্র বিশ্রামবারের থেকে বড়। তাই ভাই- বোনেরা এসো আমরা যীশুর শিষ্য হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। আমাদের অন্তরটা যেন ফরাসিদের মতো না হয়।”
খ্রিস্টযাগের পরে বর্তমান বাস্তবতায় যুব সচেতনতা ও নৈতিকতা, নিজ জীবন সহভাগিতা ও ক্যারিয়ার গঠন এবং YCS গঠন কার্য়ক্রম বিষয়ের উপর যথাক্রমে লুক লোটাস চিসিম, ড. আরোক টপ্য,ফাদার শ্যামল গমেজ সহভাগিতা করেন।
মি. লুক লোটাস চিসিম বলেন, “ওয়াইসিএস এমন একটি আন্দোলন যা যুবক-যুবতিদের মঙ্গল বয়ে আনে তাই আমাদের প্রত্যেকে ধর্মপল্লীর ওয়াইসিএস সংগঠনে যোগদান করতে হবে।”
“ওয়াইসিএস করার মধ্য দিয়ে আমাদের একে অপরের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। একজন যুবক বা যুবতী হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত ধর্মপল্লীর কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা। বর্তমানে অনেক যুবক- যুবতী নৈতিকতা বহির্ভূত কাজ করছে যা আমাদের জন্য দু:খজনক কিন্তু আমাদের নৈতিক মানুষ হতে হবে,” বলেন চিসিম।
কারিতাস রাজশাহীর আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য বলেন, “আমাদের প্রত্যেকের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। ভবিষ্যতে আমি কি করব তার জন্য এখন থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করে তুলতে হবে। আমরা যখন নিজেদের জীবন নিয়ে সচেতন থাকি তখনই আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হই।”
অংশগ্রহণকারী একজন যুবতী শ্রেয়া মন্ডল বলেন, “ওয়াইসিএস করতে আমার অনেক ভালো লাগে কারণ এর মাধ্যমে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সুযোগ হয় যা আমার জীবনের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকের সেমিনার থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি এবং নিজের জীবন সম্পর্কে সচেতন হয়েছি।”
পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পাল-পুরোহিতের সমাপণী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। - লর্ড ডানিয়েল রোজারিও
