রাজশাহী মুক্তিদাতা হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো বির্তক প্রতিযোগিতা

মুক্তিদাতা হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হলো বির্তক প্রতিযোগিতা

গত ২৯ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাজশাহী মুক্তিদাতা হাই স্কুলের আয়োজনে দিন ব্যাপি ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট দশটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃ শ্রেণী বির্তক প্রতিযোগিতা।

এই আন্তঃ শ্রেণী বির্তক প্রতিযোগিতার মূলসুর ছিল,“বির্তক যেন শুকনো মাটিতে লাঙ্গলের ফলা”। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ব্রাদার রঞ্জন পিউরিফিকেশণ সিএসসি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাদার শেখোর কস্তা, আহবায়ক ও মডারেটর হিসেবে মি. বিলাস কুমার রায়, সহকারী শিক্ষক, সঞ্চালনায় মোছা. ইসরাত জাহান ইভা এবং বিচারক হিসেবে মি. রফিুল ইসলাম, মিসেস সবিতা মারান্ডী ও সি. তার্সিলা লাকড়া এসসি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অতিথি ও শিক্ষক-শিক্ষিকা, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং অভিভাবকদের আসন গ্রহন করানোর পর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। মডারেটর তার বক্তব্যে বির্তক সম্পর্কে দুটি কথা বলেন এবং  সকলকে স্বাগত জানান। অতপর অতিথি মহোদয় দিনের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং দিন  ব্যাপি আন্তঃ শ্রেণী বির্তক প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করেন।

মুক্তিদাতা হাই স্কুলের আয়োজনে ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট দশটি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হলো বির্তক প্রতিযোগিতা

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, “শুধু লেখাপড়া নয়, এর পাশাপাশি আরো অনেক কিছুর অনুশীলন করা আবশ্যক। যেমন খেলাধূলা, সাংস্কৃতিক চর্চা, বির্তক, হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন ইত্যাদি।”

এই সহশিক্ষা কার্যক্রম অনুশীলনের মাধ্যমে আমরা সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠতে ও আদর্শ ব্যক্তিত্ব গঠণ করতে পারি,” বলেন সভাপতি।

তিনি বিতার্কিকদে উদ্দেশে বলেন, “বির্তক মানুষের সাহস বাড়ায়, দৃঢ় সংকল্পে তারা পথ চলে, যুক্তির মাধ্যমে তারা কথা বলতে পারে, যে কোন যুক্তি খন্ডন করতে পারে, তারা পরিবারে, সমাজে তথা দেশের যে কোন প্রয়োজনে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং তারা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে ভয় পায় না। এজন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি অবশ্যই বির্তক অনুশীলন করা একজন শিক্ষার্থীর নৈতিক দায়িত্ব।”

সকল ছাত্র-ছাত্রী ও বিতার্কিকদের উদ্দেশ্যে বিচারক হিসেবে মি. রফিকুল ইসলাম বলেন, “বির্তক একটি সহশিক্ষা কার্যক্রম। বিষয়-বস্তুকে উপস্থাপনা, যুক্তি প্রদর্শন ও যুক্তি খন্ডন ও তথ্য উপাত্য দিয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হয়। সুন্দর ও গোছালো শব্দ চয়ন, উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি, মার্জিত ব্যবহার দ্বারা বির্তক উপস্থাপন করলে বিষয়টি প্রাণবন্ত হয়।”

এছাড়াও তিনি বিতার্কিকদের কিছু কিছু বিষয়ে সংশোধন ও সচেতন করিয়ে দেন যেন আগামীতে আরো ভালো মানের বির্তক অনুষ্ঠান করতে পারে। 

দশটি দলই পক্ষে বিপক্ষে থেকে তাদের উপসস্থাপনা, যুক্তি প্রদর্শন ও যুক্তি খন্ডন, তথ্য উপাত্য প্রদানের মাধ্যমে বির্তক প্রতিযোগিতাকে প্রানবন্ত করে রাখে। প্রতি দলেই চ্যাম্পিয়ান ও রানারআপ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে এবং একজন করে শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত করা হয়।

পরিশেষে পুরস্কার বিতরণ ও সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতি দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করেন। - ব্রাদার রঞ্জন পিউরিফিকেশন সিএসসি।