কলকাতায় বাঁশদ্রোনী শান্তিরাণী গির্জার ভ্যালেঙ্কানি মা মারিয়ার  মহা পার্বন

ভেলেঙ্কানি মা মারিয়ার মহা পার্বন

গত সেপ্টেম্বর ২০২৪ টালিগঞ্জ  বাঁশদ্রোণী শান্তিরাণী গির্জার ভেলেঙ্কানি মা মারিয়ার মহা পার্বন   মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হল।   

নয় দিন ব্যাপী ভক্তিসহকরে ভেলেঙ্কানি মারিয়ার নবাহ প্রার্থনা শেষে মহা খ্রীষ্টযাগের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

রবিবার বিকেলে মোমবাতি হাতে নিয়ে সকল পল্লীবাসী মায়ের  মূর্তি নিয়ে শোভাযাত্রা করে  গির্জাঘরে প্রবেশ করে।

জপমালা প্রার্থনা শেষে সন্ধ্যা টায় খ্রীষ্টযাগ শুরু হয়। বাংলা হিন্দি এই দুই ভাষা- ভাষীর  গানের দল মানুষজন  ভক্তিভরে  প্রার্থনা খ্রীষ্টযাগে  যৌথভাবে অংশ নেয়।

খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন পল্লী পুরোহিত  ফঃ যোসেফ  নায়েক,সহকারী  পুরোহিত  ফঃ প্রশান্ত কুল্লু বারুইপুরের ফঃ তুষার  অগস্টিন  গোমেস।খ্রীষ্টযাগে পৌরহিত্য করেন ফঃ তুষার। 

উপদেশে তিনি শুরুতেই  দিনে  মা মারিয়ার  জন্ম দিনের কথা স্মরণ  করান।সকলকে তার  সঙ্গে কণ্ঠমিলিয়ে 'শুভ জন্মদিন ' গান  গেয়ে শিশু মেরির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। সেইসঙ্গে জন্মদিনের উপহার স্বরূপ  মায়ের কাছে আমাদের  ইচ্ছাশক্তি  কে দান করার পরামর্শ দেন। 

ক্লটের উপাখ্যানের মাধ্যমে তিনি মারিয়ার  মধ্যস্থতায়   ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করার আমন্ত্রণ জানান। যাতে তাঁর কৃপায় আমাদের  সকল ইন্দ্রিয় গুলো সচল -সজাগ থাকে।মণ্ডলীর  কাজ সংস্কার  গুলো পালন করতে উজ্জীবিত করে

খ্রীষ্টপ্রসাদের পর সুন্দর  অনুষ্ঠানের জন্য সকল ভক্তবৃন্দকে প্যারিশের  তরফ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান  হয়।

খ্রীষ্টযাগের  শেষে মায়ের  পায়ে পুষ্পার্ঘ দিয়ে ,উৎসর্গকৃত ডালা আশীর্বাদ  করে  পুরোহিত গণ বিদায় নেন। 

এরপর মায়ের কাছে নিবেদিত ডালার খাদ্য সামগ্রী সকলের মধ্যে খুশি মনে বিতরণ করা হয় সকলের  সামনে প্রার্থনা সহকারে  ভেলেঙ্কানি মায়ের পতাকা নামান পল্লী পুরোহিত ফাদার জোসেফ। প্রতিবেদন – চন্দনা রোজারিও।

Tags