আমাদেরকে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থাকার জন্য; ধ্যান-প্রার্থনা করতে হবে। শুধু প্রায়শ্চিত্তকাল নয়; আমাদের দৈনন্দিন জীবন যেন হয়ে উঠে প্রার্থনাময় জীবন। কারণ আমরা ঈশ্বরের ভালবাসায় প্রতিদিন বেড়ে উঠছি; যাতে আমরা তাঁরই সান্নিধ্যে বাস করতে পারি।
সৃষ্টিকর্তার আহবানে সাড়া দিয়ে পরিবার ও সমাজে দুঃখী, অভাবী, দরিদ্র, নিপীড়িত-বঞ্চিত, বিশেষ চাহিদা-সম্পন্ন ব্যক্তি ও কষ্টভোগী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
ন্যায় ও শান্তিবিষয়ক বিশপীয় কমিশনের একটি গুরুত্বপুন্য পালকীয় কাজ হলো, মণ্ডলীর সবার প্রতি বিশেষভাবে দীনতম ভাইবোনদের প্রতি দয়া, ন্যায্যতা ও শান্তি এবং মানব উন্নয়নের জন্য সেবা প্রদান করা।
শিশুদের প্রার্থনা শিখাতে হবে, খ্রিস্টযাগের উত্তরসহ গান শিখাতে হবে, যিশু ভালবাসেন শিশু দিকটি উপলদ্ধি করাতে হবে শিশুদের, যিশু যে শিশুদের আশির্বাদ করেন সর্বদা তা তাদের বুঝাতে হবে ও শিশুরা শিশুদের সাহায্য করে এই চেতনায় জাগ্রত করতে হবে।
আমরা প্রত্যেকে আমাদের ব্যক্তি পরিচয়ে বড় হই। প্রথমত, আমি একজন মানুষ, তারপর আমি কারও মেয়ে, কারও স্ত্রী, কারও মা। কিন্তু আমি একজন স্বতন্ত্র মানুষ। এই স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবেই আমি বড় হই এবং পরিবার ও সমাজের জন্য কাজ করি।
ক্রুশের মধ্যদিয়ে আমার আপনার মুক্তি, ক্রুশকে আমি আপনি যখন ধারণ করি তখন ঈশ্বর ও আমার প্রতিবেশীর সাথে সুন্দর সম্পর্ক তৈরী হয়। তা না হলে আমরা প্রকৃত খ্রিস্টান হয়ে উঠতে পারবো না।
নারী দিবস কেবলমাত্র নারীর ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করেই নয় বরং নারীকে তার প্রাপ্য সম্মান, সমান অধিকার ও তার যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়নের দিকটিকেও উজ্জীবিত করে তোলার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
সব ধর্মই ভালোবাসার কথা বলে এবং মানুষের সেবা করার কথা বলে। পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যারা মানুষের সেবা করে এবং বিনিময়ে কিছু আশা করে না। কারিতাস মানে প্রেম। তাই আমাদের সবার উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং একে অপরকে সাহায্য করা।
জপমালা প্রার্থনার করার মাধ্যমে সকলে মা মারিয়ার আশীর্বাদ লাভ করে। তাই প্রত্যেক পিতামাতাকে প্রার্থনাশীল ও আদর্শবান হওয়ার আহ্বান জানান, যেন তারা তাদের সন্তানদেরকে খ্রিস্টীয় আদর্শে লালন-পালন করতে পারেন।
অতিথিবৃন্দের বক্তব্যে শিক্ষাক্ষেত্রে খেলাধূলার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তারা বলেন, “সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মনন ও দৈহিক বিকাশে অতুলনীয়। শিশুদের খেলাধূলার সুযোগদান ও খেলাধূলার পরিবেশ সৃষ্টিসহ উৎসাহ প্রদান করতে অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান করেন।”