বনপাড়া লূর্দের রাণী মারীয়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান
গত ৩০ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বনপাড়া লূর্দের রাণী মারীয়া ধর্মপল্লীতে অনুষ্ঠিত হল প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
দীর্ঘ তিন মাস আধ্যাত্নিক প্রস্তুতির পর বনপাড়া ধর্মপল্লীর বিভিন্ন গ্রামের ২৮ জন ছেলে ও ৩৯ জন মেয়ে মোট ৬৭ জন ছেলে-মেয়ে প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণ করে।
উল্লেখ্য যে, প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণের পূর্বে প্রার্থী ও প্রার্থীদের পিতা-মাতাসহ সকলেই পাপস্বীকার সংস্কার গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নেয়।
প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের পবিত্র খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লীর পাল-পুরোহিত ফাদার দিলীপ এস. কস্তা।
খ্রীষ্টযাগের উপদেশ বাণীতে ফাদার দিলীপ এস. কস্তা বলেন, “সাতটি সাক্রামেন্তের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্রামেন্ত হলো খ্রীষ্টপ্রসাদ। আজকের এই দিনে আমাদের ধর্মপল্লীর ৬৭ জন ছেলে মেয়ে প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণ করতে যাচ্ছে এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের দিন।”
“যীশু যেমন শিশুদের ভালবেসেছেন আমরাও যেন শিশুদের তেমনি ভালবাসি। খ্রীষ্টিয় জীবন সম্পর্কে যেন তাদেরকে শিক্ষা দিই। তারা যেন খ্রীষ্টপ্রসাদ সম্পর্কে আরো গভীরভাবে জানতে পারে। সেজন্য আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে”, বলেন ফাদার দিলীপ কস্তা ।
ফাদার দিলীপ শিশুদের উদ্দেশ্য করে আরো বলেন, “আজকের এই দিনে তোমরা যে বিশ্বাস ও আকাঙ্খা নিয়ে যীশুকে খ্রীষ্টপ্রসাদের মাধ্যমে গ্রহণ করছ, সেই বিশ্বাস ও আকাঙ্খা যেন সারা জীবন ধরে রাখতে পার।”
প্রথম খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণকারী অর্চি আব্রাহাম কস্তা তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, “আমার অনেক ইচ্ছা ছিল যে, খ্রীষ্টপ্রসাদ আকারে যীশুকে গ্রহণ করবো। আজ আমি খ্রীষ্টপ্রসাদ গ্রহণ করেছি তাই আমার অন্তরে একটা গর্ব যে আমি প্রভু যীশুকে গ্রহণ করতে পেরেছি।”
খ্রীষ্টযাগ শেষে প্রথম পাপস্বীকার ও খ্রীষ্টপ্রসাদ সংস্কার গ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। পরিশেষে শ্রদ্ধেয় ফাদার দিলীপ এস. কস্তা সব কিছুর জন্য সকলকে ধন্যবাদ প্রদান করেন। - পিটার হেম্ব্রম