প্রথমবার কারাগারের পবিত্র দরজা উন্মুক্ত করলেন পোপ ফ্রান্সিস

প্রথমবার কারাগারের পবিত্র দরজা উন্মুক্ত করলেন পোপ ফ্রান্সিস

পুণ্য পিতা ফ্রান্সিস জুবলি বা জয়ন্তী ২০২৫ সালের বিষয়বস্তু আশার উপর ভিত্তি ক’রে ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে, সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকার পবিত্র দরজাটি উন্মুক্ত করেন এবং এরপর, প্রথমবার তিনি একটি কারাগারের পবিত্র দরজা উন্মুক্ত করলেন। 

পোপ রোমের রেবিবিয়া নিউ কমপ্লেক্স কারাগারে পৌঁছে সেখানে দরজা উন্মুক্তের গুরুত্বের কথা বলেন। জেলের দ্যা চার্চ অফ আওয়ার ফাদার চ্যাপলের সামনে এসে এই দরজা খোলার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলেন যে, তিনি চান যে প্রত্যেকে যেন তাদের হৃদয়ের দরজা রুদ্ধ ক’রে না রাখে এবং নিজেরা বুঝতে পারে যে “আশা” আমাদের কখনই হতাশ হতে দেয় না।"

পবিত্র দরজা দিয়ে প্রবেশ করে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টযাগ উৎসর্গ করেন।  এরপর তিনি তাঁর উপদেশে এই ঐতিহাসিক সফরের কারণ বিশ্লেষণ করে বলেন "এই উদ্বোধনের একটি সুন্দর দিক রয়েছে।" তবে, শুধুমাত্র দরজা খোলা নয় বরং খ্রীষ্টযাগে উপস্থিত সকল বন্দীদের তাদের হৃদয়দ্বার উন্মুক্ত করতে তিনি তাদের উৎসাহ প্রদান করেন। একে অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তোলার জন্য হৃদয় উন্মুক্ত করতে বলেন। 

তিনি তাদের রুদ্ধ এবং কঠিন হৃদয়ের বিরুদ্ধে সতর্ক হতে বলেন, যা আমাদের বাঁচার পথের পাথেয় হয়ে উঠবে। পুণ্য পিতা আরও  বলেন এই জুবলি বা জয়ন্তী আমাদের হৃদয়কে উন্মুক্ত করে আশাবাদী হয়ে ওঠার অনুগ্রহ প্রদান করে। এমনকি কঠিন থেকে কঠিনতম সময়েও আশা আমাদের কখনো হতাশ করে না। 
আশাকে তিনি শক্ত দড়ি দিয়ে বাধা নোঙরের সাথে তুলনা করেন। তিনি বলেন কখনও কখনও এই দড়ি শক্ত হয় যা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করে। তবে, এই প্রতিকূল মুহুর্তগুলিতেও আশার নোঙ্গর আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। 

তিনি বলেন আমরা আমাদের হৃদয় দুয়ার রুদ্ধ করে রাখলে তা পাথরের মতো শক্ত হয়ে যায়; একসময় তা কোমলতা ভুলে যায়। পোপ ফ্রান্সিস সতর্ক করে বলেন, এই কারণেই সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও আমাদের হৃদয়ের দরজা খোলা রাখা প্রয়োজন। তিনি উপস্থিত বন্দীদের আশাবাদী হয়ে উঠতে বলেন এবং আরও বলেন যে আমরা প্রত্যেকেই জানি যে কিভাবে তা করা সম্ভব।