পোপ ফ্রান্সিস শারীরিক সমস্যা সত্ত্বেও এশিয়া, ওশেনিয়া সফরের সময়সূচী প্রকাশ করেছেন
পোপ ফ্রান্সিস একটি সাপ্তাহিক সাধারণ দর্শকদের (ভ্যাটিকান মিডিয়া) সাক্ষাৎ।
পোপ ফ্রান্সিস সেপ্টেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি, তিমুর-লেস্টে এবং সিঙ্গাপুরে ১২ দিনের সফরে যাত্রা শুরু করতে চলেছেন। হাঁটুর আঘাত এবং ব্রঙ্কাইটিস সহ নানাবিধ শারীরিক জটিলতা সত্ত্বেও তাঁর যাজক মিশনের প্রতি তিনি অটুট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
৮৭ বছর বয়সী পোপের এই চারটি দেশ পরিদর্শনের জন্য ২০,০০০ মাইলেরও বেশি কভার করে সাতটি বিমান নেবেন।
ফ্রান্সিস বিশ্বের মুসলিম জনসংখ্যা অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম যাত্রা বিরতি করবেন।
৪ সেপ্টেম্বর, তিনি ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডোর সাথে দেখা করবেন এবং ইস্তানা মেরদেকা রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন।
এরপর ইন্দোনেশিয়ার জেসুইটদের সাথে বৈঠকের পর বিশপ, পুরোহিত, নান এবং সেমিনারিয়ানদের সাথে দেখা করার জন্য রাজধানী জাকার্তায় আওয়ার লেডি অফ দ্য অ্যাসাম্পশনের ক্যাথেড্রাল পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া সফরের দ্বিতীয় দিনে ফ্রান্সিস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ ইস্তিকলাল মসজিদে একটি আন্তঃধর্মীয় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন।
ইন্দোনেশিয়ার দাতব্য তথা চ্যারিটেবল প্রতিষ্ঠান গুলির প্রাপকদের সাথে সাক্ষাতের পর তিনি ৫ সেপ্টেম্বর জাকার্তার গেলোরা বুং কার্নো স্টেডিয়াম যেখানে ৭৭,০০০ দর্শক বসতে পারে, সেখানে একটি মহা খ্রীষ্টযাগ করতে চলেছেন।
ইন্দোনেশিয়া সফর শেষে ফ্রান্সিস ৬ সেপ্টেম্বর পাপুয়া নিউ গিনির উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
৭ সেপ্টেম্বর, তিনি পথ শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যত্ন নেওয়া স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের নেতাদের সাথে দেখা করবেন।
একই দিনে, ফ্রান্সিস দেশটির রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে খ্রিস্টানদের মেরি হেল্পের উপাসনলয়ে যাজকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। পাপুয়ান রাজনৈতিক নেতাদের কাছেও তার বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে।
পাপুয়া নিউ গিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে রাজধানীর স্যার জন গুইস স্টেডিয়ামে এক জনসভায় সভাপতিত্ব করার আগে তার সাথে দেখা করবেন।
ফ্রান্সিসের পাপুয়া নিউ গিনি সফরের সময়সূচির মধ্যে রয়েছে দেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি শহর ভ্যানিমো পরিদর্শন। তিনি ধর্মপ্রচারকদের সাথে দেখা করবেন এবং হলি ক্রস ক্যাথেড্রালে বিশ্বস্তদের সাথে কথা বলবেন।
ভ্যানিমো পরিদর্শন করার পরে, ফ্রান্সিস রবিবার পোর্ট মোরেসবিতে ফিরে যাবেন।
৯ সেপ্টেম্বর, পোপ ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ শতাংশ (৯৭ শতাংশ) সহ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র তিমুর-লেস্টে তিমুর-লেস্তে ভূমি পরিদর্শন করবেন।
তিনি দেশের রাজধানী দিলিতে প্রতিবন্ধী শিশুদের দেখতে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এখানে, পরে স্থানীয় পুরোহিতদের সাথেও মিলিত হবেন এবং ক্যাথেড্রাল অফ দ্য ইম্যাকুলেট কনসেপশনে ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিত্বদের সাথে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে বক্তৃতা দেবেন এবং তাসি তোলুর এসপ্ল্যানেডে একটি খ্রীষ্টযাগে সভাপতিত্ব করবেন।
এরপর তিনি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়ায় চতুর্থ ও শেষ সফরে সিঙ্গাপুরে যাবেন।
তিনি ১১ সেপ্টেম্বর চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন।
পরের দিন, পুণ্য পিতা সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি থারমান শানমুগারতনাম এবং প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং এর সাথে দেখা করবেন।
সিঙ্গাপুরের নেতাদের সাথে দেখা করার পর পোপ স্পোর্টসহাব ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে একটি মহা খ্রীষ্টযাগে সভাপতিত্ব করবেন।
তিনি সিঙ্গাপুরে ক্যাথলিক জুনিয়র কলেজে একটি আন্তঃধর্মীয় সভায় যোগ দেবেন; একদল বয়স্ক লোকের সাথে ও সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের পরে, পোপ ফ্রান্সিস ১৩ সেপ্টেম্বর একটি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে চ্যাটার্ড বিমানে রোমে ফিরে যাবেন। অনুলিখন – চন্দনা রোজারিও